আল্লাহ তায়ালার পরিচয়
Share this
আল্লাহ পাক সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও প্রতিপালক । এই বিশ্বচরাচরে যা কিছু রয়েছে সবই তাঁর আজ্ঞাবহ ও দাসানুদাস। বিশ্বস্রষ্টা দয়াময় আল্লাহ তাআলা লা-শরীক, একক ও অদ্বিতীয়।
যাবতীয় সৃষ্টির হায়াত, মউত, রিযিক ও দৌলতের তিনিই মালিক। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ববিষয়ে শক্তির অধিকারী । এই পৃথিবীর সব কিছু তাঁর নির্দেশে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
সুতরাং দয়াময় আল্লাহ পাকের পরিচয় আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে এবং তাঁর পরিচয় লাভে ধন্য হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা নিজের পরিচয় প্রদান করেন সূরা ইখলাসে–
অর্থ : হে নবী! আপনি বলে দিন যে, আল্লাহ একক তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন; তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তিনি কারও ঔরসজাত নন। আর (শক্তিতে, জ্ঞানে ও গুণে) তাঁর সমকক্ষ অন্য কেউ নেই ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অনাদিকাল হতেই স্বীয় অস্তিত্ব ও মহিমা সহকারে বিরাজ করছেন এবং অনন্তকাল পর্যন্ত বিরাজমান থাকবেন। সৃষ্ট জগতের পত্তন-ধ্বংস, জরা-মৃত্যু, উত্থান-পতন, সুপ্তি-বিলুপ্তি হতে তিনি চির পবিত্র।
এই বিশ্বচরাচরে তাঁর কর্তৃত্ব ও মালিকানা ছাড়া অপর কারো কোনো অধিকার নেই। তিনি সবকিছুর পরিচালক, নিয়ামক ও রক্ষাকর্তা। এই প্রসঙ্গে পবিত্র কালামে পাকের ‘আয়াতুল কুরসীতে আল্লাহ পাক এরশাদ করেছেন-
অর্থ : তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতীত অন্য কোন মা’বুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী । তন্দ্রা তাঁকে স্পর্শও করতে পারে না । নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে তিনিই তাদের অধিশ্বর ।
অন্যত্র এরশাদ হয়েছে-
অর্থ : তিনিই আল্লাহ, যিনি আকাশেও একমাত্র উপাস্য এবং যমীনেও একমাত্র উপাস্য । তিনি মহাবিজ্ঞানী ও সর্ববিষয়ে সুপরিজ্ঞাত ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরও ঘোষণা করেন-
অর্থ : তিনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন, যিনি আকাশসমূহ বিনা খুঁটিতে সুউচ্চ (শামিয়ানার মত ঝুলায়ে) রেখেছেন, যা তোমরা দেখতেছ। পবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফের ‘সূরা আবআমে’ আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন-
অর্থ : তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের জন্য তারকারাজি পয়দা করেছেন, যাতে তোমরা জলে স্থলে ঘনঘোর অন্ধকারের সময় সঠিক পথের সন্ধান লাভ করতে সমর্থ হও। আল্লাহ পাক আরও এরশাদ করেন-
অর্থ : তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদেরকে মৃত্তিকা হতে পয়দা করেছেন । অতঃপর এই পৃথিবীর বুকে তোমাদের অবস্থানের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত করে দিয়েছেন । আল্লাহ পাক আরও বলেন-
অর্থ : আমার নিদর্শনাবলী বিশ্বের আনাচে-কানাচে প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে এবং মানুষের নিজের মধ্যেও, যাতে সত্য তাদের জন্য বিকশিত হয়ে উঠে।
আরো পড়ুন:- নামাজে সূরা মিলিয়ে পড়ার নিয়ম