ওসিয়ত নামা | অসিয়ত করার নিয়ম
Share this
মানুষ যখন মৃত্যুর দ্বারে উপস্থিত হয়, তখন প্রতি মুহূর্তেই মৃত্যুর আশঙ্কা তার মনে প্রবল হয়ে থাকে । মৃত্যু কোন নির্দিষ্ট সময়েই এসে উপস্থিত হয়, কিন্তু সেই নির্দিষ্ট সময় সম্বন্ধে মানুষের মোটেই জ্ঞান নেই । শৈশবেও মৃত্যু ঘটে, যৌবনকালেও মৃত্যু আসে, বৃদ্ধ বয়সে তো প্রতি মুহূর্তেই মৃত্যুর সম্ভাবনা মনে করে কাতর হয়ে পড়ে।
মোটকথা, মানুষ যখন মৃত্যুর নিকটবর্তী হয়, যখন মানুষ নিজকে পরপারের যাত্রী বলে আল্লাহ কাছে খাটি দিলে তওবা করে নিজের অতীত ও বর্তমান গুনাহ্র ক্ষমা দৃঢ়রূপে কামনা করে, তখন তার সমস্ত হককুল এবাদ এবং হককুল্লাহ্ পরিষ্কার করে মা’ ফ চাওয়া দরকার এবং পরের দেনা,
অন্যের আমানত কারো সঙ্গে কোনো ওয়াদা করে থাকলে তা পরিষ্কার করে দায়মুক্ত হওয়া একান্ত আবশ্যক। যদি এক ছেলে মৃত্যুবরণ করে থাকে এবং অপর ছেলে জীবিত থাকার কারণে এই মৃত ছেলের সন্তানেরা দাদার সম্পত্তি লাভে বঞ্চিত হয়ে একেবারে নিঃস্ব হওয়ার বন্দোবস্ত হয় এবং
এই দাদার সম্পত্তি যদি থাকে, তবে পৌত্র দাতার কর্তব্য । কুরআন শরীফে এসেছে : পৌত্রীদের জন্য ওসয়িত করা অর্থাৎ তাদের জন্য সম্পত্তির এক উত্তম অংশ দান করা
كُتِبَ عَلَ
إِذَا حَضَرَ اَحَدَ كُمُ الْعَوتُ إِنْ تَوَكَ خَيْرَ انِ الْوَ
صِيَهُ لِلْوَ الدِّينِ وَالاقوبِيْنَ .
অর্থাৎ “হে মুসলিমগণ! তোমাদের কারো দ্বারে মৃত্যু উপস্থিত হলে, যদি তার সম্পত্তি থাকে, তবে তখন তার পিতা-মাতা এবং নিকট-আত্মীয়দের জন্য ওসিয়ত করা তার উপর পরজ করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য যে, মীরাস বা ফরায়েযের আয়াত নাযিল হওয়ার পূর্বে এ ওসয়িতের বিধান নাযিল হয়েছে । নির্দিষ্ট ওয়ারিসের জন্য নির্ধারিত ফরায়েযের বিধান নাযিল হওয়ার পর এ ওসিয়তের হুকুম রহিত হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু যে সমস্ত নিকট আত্মীয় ওয়ারিস শ্রেণীভুক্ত হবে না, তাদের জন্য ওসিয়ত করা এখনও ফরজ রয়েছে । এছাড়া মৃত্যুর নিকটবর্তী লোকটির আরও যদি কোনো ধর্মীয় সৎকাজের ইচ্ছা থেকে থাকে, (থাকাই বাঞ্চনীয়) তবে সেই জন্যও ওসিয়ত করে যাওয়া উচিত।
যদি রোযা-নামাজ কাযা হয়ে থাকে, কিংবা হজ্জ, যাকাত, মান্নত, কাফ্ফারা প্রভৃতি বাকি থেকে থাকে, তবে সেগুলি আদায়ের জন্যও ওসিয়ত করে যাওয়া দরকার ।
মসজিদ মাদ্রাসা প্রভৃতি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও সম্পত্তি থাকলে ত(১,৩) অংশের মধ্যে ওসীয়ত করে যাওয়া উচিত ।
আরো পড়ুন:- স্বামীর হক বা অধিকার