ইসলাম

নামাজের রুকন

Share this

নামাজের রুকন সম্পর্কে সতর্ক করা

আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) একবার আমাদেরকে নামায পড়ালেন। তারপর মিম্বরে আরোহণ করলেন এবং নামায ও রুকু সম্পর্কে বললেন, অবশ্যই আমি তোমাদেরকে সামনের দিক থেকে যেরূপ দেখি পিছনের দিক থেকেও তদ্রুপ দেখি।

মসজিদে খাওয়ার দাওয়াত গ্রহণ করা :

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি একবার রাসূল (সাঃ) কে মসজিদে দেখতে পেলাম । তিনি আমাকে বললেন, আবু তালহা কি তোমাকে পাঠিয়েছে?

আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, খাওয়ার জন্য? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি পাশের লোকদেরকে বললেন, উঠ। তিনি চললেন আর আমিও তাদের সম্মুখ দিয়ে রওয়ানা হলাম ।

মসজিদে শরীয়তের বিচার করা

সহল ইবনে সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । একব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূল (সাঃ)! যদি কেউ তার স্ত্রীর সঙ্গে ভিন্ন পুরুষ দেখে তবে কি সে তাকে হত্যা করবে? তারা দুজনে (স্বামী-স্ত্রী) মসজিদে লেআন করতে থাকল এবং আমি (বর্ণনাকারী) তা প্রত্যক্ষ করলাম । (বুখারী শরীফ)

বাড়ীর মালিকের দেখানো স্থানে নামায পড়া উচিৎ

এতবান ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, রাসূল (সাঃ) একবার তার বাড়ীতে তাশরীফ এনে বললেন, ঘরের কোন জায়গায় তোমার জন্য নামায পড়া পছন্দ কর?

তিনি বললেন, আমি তার জন্য ইশারা করে দেখিয়ে দিলাম। রাসূল (সাঃ) তাকবীর বললেন এবং আমরা তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হলাম । তিনি দু রাকাত নামায পড়লেন। (বুখারী শরীফ) কাজ ডানদিক থেকে আরম্ভ করা :

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) যতদূর সম্ভব, তাঁর প্রতিটি কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন। যেমন পবিত্রতা অর্জন করা, চুল আঁচড়ান এবং জুতা (বুখারী শরীফ) পরিধান করা ।

কবরকে সিজদার স্থান বানানো নিষেধ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । উম্মে হাবীবাহ ও উম্মে সালমাহ (রাঃ) আবিসিনিয়ায় একটি গীর্জা দেখেছিলেন। তাতে অনেকগুলো প্রতিমূর্তি ছিল। এ সম্পর্কে তাঁরা রাসূল (সাঃ) এর নিকট বর্ণনা করলেন ।

তিনি বললেন, তাদের কোন সৎব্যক্তি মারা গেলে তারা তাদের কবরের উপর মসজিদ তৈরী করত এবং তাদের প্রতিমূর্তি নির্মাণ করে সেখানে স্থাপন করত। রোজ কিয়ামতে তারা আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট জীবে গণ্য হবে। নিচে

বকরী-ভেড়ার খোয়াড়ে নামায আদায়

আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বকরী-ভেড়ার খোয়াড়ে নামায পড়তেন। বর্ণনাকারী (আবুত তাইয়্যাহ) বলেন, তারপর আমি আনাসকে বলতে শুনেছি, রাসূল (সাঃ) মসজিদ তৈরী হওয়ার পূর্বে বকরী-ভেড়ার খোয়াড়ে নামায (বুখারী শরীফ) পড়তেন ।

উটের খোয়াড়ে নামায পড়া :

নাফে’ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি ইবনে ওমরকে উটের পাশে নামায পড়তে দেখেছি তিনি (ইবনে ওমর) বললেন, আমি দেখছি রাসূল (সাঃ) এরূপ করতেন।

একাগ্রচিত্তে নামায পড়তে হবে

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, একবার সূর্য গ্রহণ হা রাসূল (সাঃ) নামায পড়লেন। তারপর তিনি বললেন, আমাকে দোযখ দখোনো হয়েছে এবং আজকের ন্যায় ভয়াবহ দৃশ্য আমি ইতোপূর্বে কোন সময় দেখিনি (বুখারী শরীফ)

কিছু কিছু নামায ঘরে পড়া উচিত :

ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা নিজেদের ঘরে নামায আদায় কর এবং তাকে কবর বানিও না

ধ্বংস ও আযাবের স্থানে নামায পড়া :

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আযাব প্রাপ্ত লোকদের কবর স্থানে যেও না । কেননা, তাদের উপর যে মুছীবত এসেছে, তোমাদের উপর তা আসতে পারে ।

গীর্জায় নামায পড়া

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, উম্মে সালমাহ (রাঃ) রাসূল (সাঃ) এর নিকট আবিসিনিয়ার ম্যারী গীর্জার কথা বর্ণনা করলেন । তিনি তথায় যে সকল প্রতিমূর্তি দেখেছেন, তা উল্লেখ করলেন। রাসূল (সাঃ) বললেন, তাদের সম্প্রদায়ে যখন কোন সৎ লোক মারা যেত, তারা তার কবরকে মসজিদে পরিণত করত এবং তখন তার প্রতিমূর্তি স্থাপন করা হত । তারা আল্লাহর নিকট সৃষ্টির নিকৃষ্ট ইহুদীরা অভিশপ্ত

আয়েশা ও আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, রাসূল (সাঃ) এর মৃত্যুরোগ শুরু হলে তিনি পুনঃ পুনঃ নিজের একটি চাদর তাঁর মুখমন্ডলে টেনে নিতেন। যখন খুব বেশী গরম অনুভব করতেন, তখন তা মুখ থেকে সরিয়ে রাখতেন।

এ অবস্থায় তিনি বললেন, ইয়াহুদ ও খৃষ্টানদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। কেননা তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়েছে। একথা বলে তিনি (তাঁর উম্মতকে) তাদের কর্ম সম্বন্ধে সতর্ক করেছিলেন ।

(বুখারী শরীফ) আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ ইয়াহুদ কওমকে ধ্বংস করুক । তারা নিজেদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়েছে।

পৃথিবীর সমস্ত যমীন এ উম্মতের জন্য মসজিদ স্বরূপ

জাবের ইবনে আদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমাকে এমন পাচটি বিষয় প্রদান করা হয়েছে যা আমার পূর্বে কোন নবীকে দেয়া হয়নি।

(১) আমাকে একমাসের রাস্তায় ভীতি দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে।

(২) আমার মাটিকে মসজিদ এবং পবিত্রকারী বস্তু তৈরী করা হয়েছে। আমার উম্মতের যেখানেই নামাযের সময় হয় সে যেন সেখানে নামায পড়ে নেয়।

(৩) আমার জন্য গনীমতের মাল হালাল করা হয়েছে

(৪) আমার পূর্বে নবীদেরকে বিশেষতঃ তার কওমের নিকট প্রেরণ করা হত; কিন্তু আমাকে সমগ্র মানব জাতির জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে।

(৫) আমাকে সার্বজনীন শাফায়াতের অধিকার দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *