পানি পানের দোয়া ও নিয়ম
Share this
নিদ্রা হতে জেগে ওঠেই পানি পান করবে না। তবে যদি বেশি তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়, তা হলে নাসিকা বন্ধ করে পানি পান করবে এবং এক ঢোক করে গলধকরণ করবে। পানি পান করার পরেও কিছু সময় নাসিকার দ্বারা শ্বাস-প্রশ্বাস করা বন্ধ করে রাখা ভাল ।
প্রখর রৌদ্রের মধ্য হতে এসে একটু বিলম্ব না করে পানি পান করবে না ।
পায়খানা-প্রস্রাবখানা হতে এসেই পানি পান করবে না ।
খানা খেতে ফাকে ফাকে পানি পান না করে খানা শেষ করার পরে পানি পান করা ভাল ।
দাঁড়িয়ে কখনও পানি পান করবে না । এটা বেয়াদবির লক্ষণ ।
গলায় বেঁধে হঠাৎ মৃত্যু হতে পারে ।
পানি কখনও একই টানে বা গো-গ্রাসে গলধকরণ করবে না। কেননা তাতে
গভীর কূপের নির্মল পানি যাতে কোনোরকম ময়লা বা দূষিত বস্তু পরার ভয় নেই, যে বৃহৎ ও গভীর পুকুরে অজু-গোসল করা হয় না, থালা-বাসন ধোয়া হয় না বা অন্য কোনোরকম কদাচার নেই, তার পানি, প্রশস্ত নদীর প্রবাহিত পানি, বৃষ্টির পানি এবং আধুনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন রকমে পরিস্কারকৃত পানিই পান করার যোগ্য। এটা রোগ দেখা দিতে পারে । ছাড়া যে কোনো রকমের পানি পান করার ফলে উদরাময়, কলেরা, ডায়রিয়া ইত্যাদি
পানি নির্মল এবং বিশুদ্ধ করার কয়েক রকম প্রক্রিয়া চালু আছে। যথাঃ বালুও কয়লার দ্বারা ছেকে (ফিল্টার করে) পানির মধ্যে যথোচিত ফিটকারী বা কর্পূর দিয়ে বা পানি আগুনে জ্বাল দিয়ে নির্মল এবং দোষমুক্ত করা যায়। জ্বাল দিয়ে সে পানিকে ঠাণ্ডা করে পান করতে হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় কখনও উষ্ণ পানি পান করা ঠিক নয়।
গোলা পানি পান করে থাকে। এই অভ্যাস নেহায়েতই ক্ষতিকর। কেননা বরফ কিংবা সীমাতিরিক্ত শীতল পানিও পান করবে না। অনেকে তৃষ্ণা নিবারণার্থে বরফ বা বরফ অধিক শীতল পানি হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি সাধন করে। পানির পাত্র সদা-সর্বদা ঢেকে রাখবে।
দুধ পান করার সময় পড়ার দোয়া
اَللّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَزِدْنَا مِنْةٌ .
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফীহি ওয়াযিদনা মিতু ।
পানির অন্য নাম জীবন । প্রাণীর জীবন রক্ষার জন্য পানির প্রয়োজন সর্বাধিক; তাই পানির এই নামকরণ করা হয়েছে। ক্ষুধায় খাদ্য আহার না করে মানুষ কিছু সময় বেঁচে থাকতে পারে, কিন্তু প্রবলভাবে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়লে মানুষ পানির অভাবে বেশি সময় বাঁচতে পারে না। একারণে পানির গুরুত্ব অত্যধিক। তবে তাই বলে পানি হলেই হবে না; বরং জীবন রক্ষা করতে নির্মল পানি চাই ।
ময়লা এবং জীবাণুযুক্ত দূষিত পানি পান করার ফলে সুস্থ ও সবল মানুষও রোগাক্রান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। যত রকমের পেটের পীড়া আছে, তার প্রায় সমস্তই পানি পানে অসতর্কতার জন্য দেখা দিয়ে থাকে। অথচ নির্মল এবং বিশুদ্ধ পানি পান করলে কোনো উদরের রোগ দেখা দেয় না।
পানাহারের নিয়ম
১। মধ্যখান হতে খাদ্য উঠিয়ে খাওয়া, কোন জীবজন্তুর সামনে খাওয়া, অধিক অনুচিৎ। পরিমাণে খাওয়া, এক নিঃশ্বাসে পান করা, খুব তাড়াতাড়ি বা আদাআধি চিবে খাওয়া
২। বর্তন এবং হাত চেটে না খাওয়া, খানা অযত্নে ফেলে দেয়া বা বর্তনে খাদ্য কিছু রেখে হাত ধোয়া, খাওয়ার সময় পরিবারভুক্ত অন্যদের খবর না নেয়া, পানাহারের সময় করা অনুচিত । নিছক বেহুদা গল্পগুজবে মশগুল হওয়া মেহমানকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে খাদ্য পরিবেশন
৩। সন্দেহযুক্ত খাদ্য, পচা খাদ্য, বাম হাতে, খুব গরম খাদ্য, পানীয় পানাহার করা, বাজারে খোলা অবস্থায় রাখা খাদ্য পানীয় ইত্যাদি খাওয়া দাঁড়ায়ে বা হেঁটে খাওয়া, মজলিসে একা একা খাওয়া অনুচিৎ। অধীনস্থ ও কম মর্যাদা সম্পন্নদের সাথে ব্যবহার নিয়ম
১। অভদ্র লোকের সাথে কথা বলার সময় রাগের উদ্রেক হলে সরাসরি তার সাথে কথা না বলে অন্য কারও মাধ্যমে কথা বলা উচিত ।
২। নিজ খাদেম অথবা সংশ্লিষ্ট কাজের জন্যে নরম সূরে কথা বলা, সে যদি কারো সম্পর্কে বদনাম করে তবে তাকে শক্ত ভাষায় নিষেধ করা উচিত
৩। বড়রা ছোটদের অপরাধ ক্ষমার চোখে দেখা, কথায় কথায় রাগ বা অসন্তুষ্ট না উচিত । হওয়া, কারো উপর অন্যায়ভাবে রাগ হলে অন্য সময় অপরাধ স্বীকার করে মাফ চাওয়া
মজলিসে বসার নিয়ম
১। কারো অপেক্ষায় থাকলে এমনভাবে অবস্থান করবে যাতে সে তোমার অপেক্ষায় থাকার কথা বুঝতে না পারে ।
এত নিকটে বসবে না যাতে সে বিরক্ত হতে পারে, আবার এত দূরেও বসবে না যাতে তোমার কথা শুনতে তার কষ্ট হয় ।
২। অযথা কারো পেছনে বসবে না । গায়ের সঙ্গে গেলে বসবে না ।
৩। যেখানে লোকজন বসা থাকবে সেখানে থুথু ফেলবে না এবং নাক সাফ করবে না । প্রয়োজন হলে এক পার্শ্বে গিয়ে তা করবে। কোন মানুষের বসা অবস্থায় সে স্থান ঝাড় দিবে না । এরূপ স্থলে নম্রতার সাথে তাকে উঠতে বলবে।
আরো পড়ুন:- ৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া