পাক পবিত্রতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচন
Share this
নামাজ পড়ার জন্য প্রথেমেই নিজেকে পাক পবিত্র হতে হবে। পবিত্রতা অর্জন নামাজের পূর্ব শর্ত। রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন,
বেহেশতের চাবি হলো নামাজ, আর নামাজের চাবি হলো পবিত্রতা।
ইবাদাতের মধ্যে নামাজের গুরুত্ব যেমন সর্বাধিক, তেমনি সেই নামাজ উপস্থিত হওয়ার পূর্বে পাক পবিত্রতার ব্যাপারে সতর্কতাও অত্যাধিক।
কারণ হল নামাজ মানুষকে সার্বিক দিক থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পূত-পবিত্র করে স্বচ্ছ জীবন যাপনের মাধ্যমে আত্মার উন্নতির চরম স্তরে পৌছে দিতে চায়।
তাই পাক হওয়ার জন্যে প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রথমে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হতে হয়। এস্তিঞ্জা বা পায়খানা প্রস্রাব থেকে।
তারপর তাকে অজু অথবা গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। অজু গোসলের জন্য পানি পাওয়া না গেলে পবিত্রতা লাভ করতে তায়াম্মুমের মাধ্যেমে । নিম্ন এগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হল।
পেশাব পায়খানা থেকে পবিত্র হওয়া।
হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-নবী করীম স. যখন পায়খানায় যেতেন তখন আমি তার জন্য পাত্র করে পানি নিয়ে যেতাম।
তিনি তা দ্বারা শৌচ কাজ করে পবিত্রতা লাভ করতেন। পরে তিনি তার হাত মাটির উপর ঘঘে নিতেন এবং পরে আমি আর একপাত্র পানি আনতাম এর দ্বারা তিনি অজু করতেন।
পেশাব পায়াখানার পর প্রযোজনমত পানি দিয়ে পেশাবদ্বার, মলদ্বার ভালরূপে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এতে পাক পবিত্রতার সতর্কতার শৌচ কাজ সবার পর পেশাবের ফোটা বের হবার সম্ভাবনা আর না থাকে। প্রয়োজনে পুরুষাঙ্গকে দু আঙ্গুলের দু তিনবার উপর থেকে নীচে দোহন করে নেবে।
এতে পেশাবের ফোটা আসার থাকলে সহজে বের হয়ে আসে। পেশাব থেকে পরিপূর্ণভাবে পবিত্রতা লাভ করার জন্য হাদীস শরীফে বেশ তাকীদ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন