আকিকা দেওয়ার নিয়ম
Share this
সন্তান জন্ম হলে তার নাড়ি কেটে গরম পানি দ্বারা গোসল করিয়ে ডান কানে আজান ও বাম কানে একামতের শব্ধগুলো শুনিয়ে দিবে। আযান কেবলামুখী হয়ে দিতে হবে। যাতে সন্তানের কানে শব্দ পৌঁছে সেভাবে আজান দিবে এবং কোন নেক লোকের দ্বারা মধু অথবা কোন মিষ্টি জিনিস সন্তানের মুখে দিবে।
জন্মের ৭, ১৪ অথবা ২১ দিনে সন্তানের একটা ভাল নাম রাখবে। এবং মাথা কামিয়ে চুল পরিমাণ স্বর্ণ কিংবা রৌপ্য গরীব-মিসকীনদের খয়রাত করে দিবে।
পুত্র সন্তান হলে ২টি এবং মেয়ে হলে একটি বকরী যবেহ করে আকিকা করবে। আকিকা করলে আল্লাহর রহমতে সন্তানের সব বালা-মসিবত দূর হয়ে যাবে। মাথা কামিয়ে মাথায় জাফরান লাগিয়ে দিলে ভাল হয় । হাদীস শরীফে আকিকার বহুবিধ ফজিলত বর্ণিত আছে।
আকিকার নিয়ম
ছেলেদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম- পুত্র সন্তানের জন্য ২টি বকরী, ভেড়া বা খাসি আকিকা করা মুস্তাহাব । পশু নর মাদী যে কোন এক জাতের হলেই হবে। যদি কেউ পুত্রের জন্য ১টি দ্বারা আকিকা করে তাতেও ক্ষতি নেই।
কেননা নবী করীম (সঃ) ইমাম হোসাইনের আকিকা একটি মাত্র ছাগলের দ্বারা করেছিলেন। আকিকা পশু এক বৎসরের হওয়া আবশ্যক। আকিকা সপ্তম দিবসে করা অতি উত্তম।
১৪ বা ২১তম দিনেও করলে কোন ক্ষতি নেই চুলগুলো পরিস্কার স্থানে মাটিতে পুঁতে রাখবে। সময় মত আকিকা করতে না পারলে সুযোগ সুবিধামত পরেও করা যায়।
নবী করীম (সঃ) নিজ আকিকা নিজে করেছিলেন। আকিকা পশু যবেহ করে তিন ভাগের এক ভাগ গোশত গরীবকে দান করা মুস্তাহাব । আকীকার গোশত সন্তানের মা-বাপও খেতে পারে।
আকিকা চামড়া মাটিতে না পুঁতে গরীবদেরকে দান কর উত্তম। বকরীর অভাবে গরু দ্বারাও আকিকা করা দুরস্ত হবে। কোরবানীর সাথে আকিকা করাও জায়েয আছে। পুত্র সন্তান হলে ২ ভাগ, মেয়ে হলে এক ভাগ দিবে।
আকিকার নিয়্যত
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাযিহী আক্বীক্বাতু ইবনী ফুলানিন দামুহা বিদামিহী ওয়া লাহ বিলাহমিহী ওয়া আযমুহা বিআযমিহী ওয়া জিলদুহা বিজিলদিহী ওয়া শা’রুহা বিশা রিহী, আল্লাহুম্মাজআলহা ফিদাআল লিইবনী মিনান্নার, বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার ।
সুন্নতে খাতনা
ছেলে সন্তানের খাতনা করান সুন্নাত। নবী করীম (সঃ) হযরত ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের জন্মের ৭ম দিবসে খাতনা করেছিলেন। অতএব অল্প বয়সে খাতনা করান কর্তব্য।