ইতিকাফের নিয়ম | এতেকাফের গুরুত্ব ও ফজিলত
Share this
শবে কদরের সওয়াব হাসিল করার নিয়্যতে এ’তেকাফ করা সুন্নতে মোয়াক্কাদা। কেননা নবী করীম (সাঃ) রমজান মাসের শেষ দশ দিন এতেকাফ করে গেছেন ।
শবে কদরের বরকত লাভের আশায় দুনিয়ার কাজ কর্ম, মায়া-মহব্বত ত্যাগ করে মসজিদে আল্লাহ তা’আলার ধ্যানে ইবাদাতের মাধ্যমে অবস্থান করাকে এ’তেকাফ বলে ।
এ’তেকাফের সুন্নাত সময় হল ৯/১০ রাত্রি ও দিন, অতিরিক্ত নিজ ইচ্ছাধীন । স্ত্রীলোক ঘরের ভিতরে নিজ কামরায় ইতেকাফ করবে ওযু-গোসল ও জুমুআর নামায পড়ার সময় ব্যতীত দুনিয়াবী কাজকর্মের জন্য এ’তেকাফের স্থান হতে বের হওয়া নিষেধ। এতেকাফের সময় বেশি বেশি কোরআন শরীফ তেলাওয়াত, তাসবীহ ইত্যাদি পাঠ করবে।
এতেকাফ তিন প্রকার
১। ওয়াজিব এ’তেকাফ- যা মান্নতের দ্বারা ওয়াজিব হয়। যেমন- কেউ বলল, আমার অমুক মকছুদ পূরণ হলে আমি এতদিন এ’তেকাফ করব; অথবা কোন মকছুদের শর্ত না করে এমনিই মান্নত করল, উভয় অবস্থাতেই নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় এ’তেকাফ করা ওয়াজিব ।
২। সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ এ’তেকাফ- যা রমযান মাসের শেষ দশ দিনে করা হয় ।
৩। নফল এ’তেকাফ-এর জন্য কোন দিন তারিখ পরিমাণ নির্দিষ্ট নেই। যে কোন সময় যতদিন ইচ্ছা করতে পারে ।
আরো পড়ুন:- তায়াম্মুমের নিয়ম এবং সুন্নাত