দোয়া

বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া

Share this

বিপদ থেকে মুক্তির আমল

প্রথমে এগারবার দরুদ শরীফ পড়ে তারপর এগারশত এগার বার ‘ইয়া রাতীফু’ শব্দটি পাঠ করবে। তারপর আবার এগার বার দরূদ শরীফ পড়বে। এই আমলের দ্বারা আল্লাহর রহমতে যে কোনো রকম বিপদাপদ হতে মুক্তি লাভ ঘটবে ।

আরো পড়ুন:- পাপ থেকে মুক্তির দোয়া

বিপদে আল্লাহর যিকির

আল্লাহর যিকির বিপদ-মসিবতের মুহূর্তে এ কথা স্বরণ করে দেয় যে, বিপদে অধৈর্য ব্যাকুল হয়ো না, এ বিপদ তো আল্লাহর হুকুম পালন করাতেই আসছে। যিকিরকারীর নিকট বিপদ-মসিবতের সময় আল্লাহর হুকুম পালন করতে পারাটাই সবচেয়ে আনন্দের। মনের শান্তি একমাত্র আল্লাহ তা’আলার যিকির দ্বারা হাসিল হয়।

যিকিরের উদ্দেশ্য আল্লাহ তা’আলার ভয় ও মহব্বতের সঙ্গে তাঁর আহকাম পালন করা এবং নিষেধ হতে বেঁচে থাকা । প্রকৃত যিকির দ্বারা যিকিরকারীর মধ্যে এই অবস্থা হাসিল হয় । মাসের পর মাস, বছরের পর বছর যিকির করলেও যার অন্তরে আল্লাহর ভয় ও মহব্বত পয়দা না হয়, তার যিকির অন্তঃ সারশূন্য ও নিস্ফল ।

আল্লাহর বিধান ওরাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সুন্নত পালন করতে গিয়ে কদাচিৎ যিকিরকারী যদি কঠিন বিপদ-মসিবতের শিকার হয়, এমন অবস্থায়ও আল্লাহর যিকিরই তাকে শান্তি দান করে। অবশ্যই আল্লাহর যিকিরের সাথে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি দরূদও থাকতে হবে নিম্নে আল্লাহর যিকিরের ফযীলত সম্পর্কে বর্ণনা করা হল ঃ

১। “কোন জামাআত যখন আল্লাহর যিকির করতে বসে তখন আল্লাহ তা’আলার রহমতের ফেরেশতাগণ তাদেরকে ঘিরে ফেলে । আল্লাহর শান্তি তাদের উপর বর্ষিত হয় এবং আল্লাহ তা’আলা তাদের বিষয় নিয়ে নিকটস্থ ফেরেশতাদের সাথে আলোচনা করেন।” (হাদীস)

২। হাদীসে আছে, “যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার যিকির করে আর যে যিকির করে না, তাদের মধ্যে যিকিরকারী জিন্দা এবং যে যিকির করে না সে মুর্দা সমতুল্য।”

৩। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন, “আমার বান্দা আমার প্রতি যেরূপ ধারণা পোষণ করে আমি তার প্রতি তদনুযায়ী ব্যবহার করে থাকি, যখন আমার বান্দা যিকির করে তখন আমি আমার রহমতও মাগফেরাত সহকারে বান্দার সাথে থাকি ।

আমার বান্দা যখন কোন জামাআতে বসে আমাকে স্বরণ করে আমিও তার চেয়ে অধিকতর উত্তম জামাআতে (ফেরেশতাগণের) মধ্যে তাকে স্বরণ করি

৪। হাদীসে আরও আছে, একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মক্কা শরীফে কোন পথে চলতে চলতে জামাদান নামীয় একটি পাহাড় অতিক্রম করতে করতে বললেন, “তোমরা এই জামাদান পাহাড় অতিক্রম কর, নির্জনবাসীগণ আগে চলে গেছে। জিজ্ঞেস করলেন, “হুজুর! নির্জনবাসী কারা?” হুযুর (সাঃ) বললেন, “সেই সকল পুরুষ ও স্ত্রীলোক, যারা আল্লাহ তা’আলার যিকির বেশি বেশি পরিমাণে করে থাকে ।

৫। আল্লাহ তা’আলা বলছেন, “যে ব্যক্তি একটি নেকী করে তাঁর সম্মানে দশটি কিংবা ততোধিক নেকী আমি তাকে দান করি। যে ব্যক্তি একটি বদী (পাপ) করে তার সমান একটি বদীর প্রতিফল তার জন্যে অগ্রসর হয়।

তার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় আমি তার দিকে একহাত এগিয়ে যাই যে আমার দিকে হেঁটে আসে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই এবং যে ব্যক্তি শেরক গোনাহ ছাড়া পৃথিবী পরিমাণ গোনাহ নিয়ে মাফের উদ্দেশ্যে আমার নিকট উপস্থিত হয় আমিও সেই পরিমাণ মাফ নিয়ে তার নিকট উপস্থিত হই।”

৬। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, একদল লোক কোন এক মজলিসে বসল ও পরে উঠে পড়ল, অথচ সেখানে তারা আল্লাহর কোন নামই নিল না, তারা যেন মৃত গাধার সম্মুখে বসে উঠে গেল, তারা অবশ্যই অনুতপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ হবে ।

৭। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যখন তোমরা বেহেশতের বাগানে গমন কর এবং তাতে বিচরণ কর তখন তা থেকে নিজের অংশ গ্রহণ কর।” সাহাবীগণ আরজ করলেন, বেহশতের বাগান কি? রাসূল (সাঃ) বললেন, আল্লাহর যিকিরের মসলিস সমূহ ।

৮। এক বেদুঈন রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করল, কোন লোক উত্তম । তিনি উত্তর দিলেন, যার বয়স বেশি এবং আমল উত্তম ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *