আলহামদুলিল্লাহ কখন বলতে হয়
Share this
আদব-শিষ্ঠাচার
১। এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া সুন্নত এবং সালামের জবাব দেয়া ওয়াজিব
২। কোন দুঃসংবাদ শ্রবণে ইন্নালিল্লাহ সুসংবাদ শ্রবণে আল হামদুলিল্লাহ উৎসাহজনক সংবাদ শ্রবণে মাশাআল্লাহ আশ্চর্যজনক সংবাদ শ্রবণে সুবহানাল্লাহ,
গোনাহের কথা শ্রবণে নাউযু বিল্লাহ, আল্লাহর শানের কথা শ্রবণে আল্লাহু আকবার, কাজ আরম্ভ করার সময় বিসমিল্লাহ ইত্যাদি বলা উত্তম আখলাকের পরিচায়ক।
আর হাঁচি দিয়ে যেমন আলহামদু লিল্লাহ, আল্লাহর শানের কথা শ্রবণে তেমনি আল-হামদু লিল্লাহ শ্রবণকারী ইয়ারহামুকাল্লাহ বলে জবাব দেয়া ওয়াজিব।
কোন মুসলমানের অসুখ হলে তাকে দেখতে যাওয়া, রুগ্ন ব্যক্তির সেবা করা, কেউ দাওয়াত দিলে কবুল করা সুন্নত।
৩। কোন মুসলমান মারা গেলে তার জানাযায় যাওয়া জীবিতদের জন্য ফরযে কেফায়া । মহল্লা হতে একজন গেলেই সবার ফরয আদায় হয়, তবে কেউ যদি না যায় তবে সকলেই ফরয তরকের গোনাহগার হবে ।
নম্রতা ও কোমলতা
১। মহান আল্লাহ মেহেরবান, তিনি মেহেরবানী ও নম্রতা ভালবাসেন। তিনি মেহেরবানী ও নম্রতায় যা দান করেন, রুক্ষতা ও কঠোরতায় তা দান করেন না ।
হাদীসে আছে, একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত আয়েশা (রাঃ) কে বলেন, কোমলতা গ্রহণ কর, কঠোরতা ও নির্লজ্জতা ছাড়া। যাতে কোমলতা থাকে তা সুন্দর হয় এবং যা হতে কোমলতা সরে পড়ে তা দূষিত হয়ে যায় ।
২। যে ব্যক্তি নম্রতা, কোমলতা হতে বঞ্চিত, সে সর্বপ্রকার মঙ্গল হতে বঞ্চিত ।
৩। যাকে নম্র ব্যবহারের অংশ দেয়া হয়েছে তাকে দুনিয়া ও আখেরাতের বড় অংশ দেয়া হয়েছে এবং যে ব্যক্তি কোমলতা হতে বঞ্চিত হয়েছে সে দুনিয়া-আখেরাতের মঙ্গল হতে বঞ্চিত হয়েছে ।
৪। কর্কশভাষী কঠোর প্রকৃতির লোক বেহেশতে যাবে না। ঈমানদার নেক খাস- লতের দরুন রাত জাগরণকারী ও দিবাভাগে রোযা পালনকারীর মর্যাদা পাবে ।
লজ্জা
১। হাদীস শরীফে আছে, “আল হায়াউ শোবাতুল মিনাল ঈমান” অর্থাৎ হায়া-শরম ঈমানের অংশ এবং ঈমানদার বেহেশতে যাবে আর নির্লজ্জতা খারাপ কাজের অন্তর্গত এবং বদকার জাহান্নামে যাবে।
২। হুযুর (সাঃ) আরও বলেন, ইসলামের বৈশিষ্ট্য হল হায়া-শরম ।
তন্মধ্যে একটি চলে গেলে অপরটিও চলে যায় । রাসূল (সাঃ) আরও বলেন, হায়া-শরম ও ঈমান মিশ্রিতরূপে সৃষ্টি করা হয়েছে।
সভাব
১। হুযুর (সাঃ) বলেন, আমি উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা সাধন করার জন্য প্রেরিত হয়েছি।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দোআ করতেন-
خَلَقَى فَحَسِنْ خُلِقى .
انت اللهم
উচ্চারণ : আল্লাহুমা আনতা হাসসানতা খালকী ফাহাসসিন খুলুকী ।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমার গঠন, আকৃতি সুন্দর করেছ, আতএব, আমার স্বভাবও সুন্দর কর।
আরো পড়ুন:- পাঁচ কালেমা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ