নামাজের জায়গা পাক হবার মাসায়ালা
Share this
পাক নাপাকের মাসায়েল
১। সাধারণত সব জিমিন পাক, যদি স্পষ্ট কোন নাপাকী দেখা না যায়।
২। জমিনের উপর যদি কোন নাপাক জিনিস পড়ে এমনভাবে শুকিয়ে যায় যে, নাপাকীর কোন চিহ্ণমাত্র দেখা যায় না, তবে সে জমিন পাক।
৩। জমিনের উপর কোন জায়গায় মল-মূত্র কিংবা অন্য কোন নাপাক জিনিস থাকে এর উপর মাটি ঢেলে দিলে যদি কোন গন্ধ না থাকে তাহলে ঐ জায়গা পাক হয়ে যাবে।
৪। যে জমিন গোবর দ্বারা লেপা হয়েছে তা নাপাক। তবে তা শুকায়ে গেলে এর উপর অন্য কোন পাক বিছানা বিছায়ে নামাজ পড়া জায়েজ।
৫। পাকা ফ্লোর বা মেঝে নাপাক কিছু থাকলে তাতে পানি ঢেলে ধয়ে দিলেই পাক হয়ে যায়। শুকানোর অপেক্ষা করতে হয় না।
সাধারণ কিছু পাক নাপাকের মাসায়েল
ঘুমন্ত অবস্থায় মুখ দিয়ে যে পানি বা লালা বের হয় তা নাপাক নয়।
২। মৃত ব্যক্তির মুখ দিযে নির্গত লালা বা পানি নাপাক।
৩। হালাল পাখীর পচা ডিম নাপাক নয়।
৪। কোন খাওয়ার জিনিস নষ্ট হলে তা খাওয়া ঠিক নয়, তবে দুর্গন্ধ হলে ও তা নাপাক হয় না।
৫। যে কোন মানুষের ঘাম নাপাক নয়। স্ত্রী লোকের হায়েয ও নেফাসের সময়ের ঘাম এবং পুরুষের গোসল ফরজ অবস্থায়ও ঘাম পাক থাকে।
৬। মাছি, মশা, ছারপোকা এবং মাছের রক্ত নাপাক নয়।
৭। কোন কিছুতে যদি নাপাকী লেগে যায় কিন্তু কোন জায়গায় লেগেছে তা স্মরণ নেই তখন সবটাই ধুয়ে ফেলতে হবে। না হয় তা পাক হবে না।
৮। বেডসিট, চাটাই, পাটি বা এ জাতীয় কোন বিছানায় এক অংশ নাপাক হলে এবং বাকী অংশ পাক থাকলে ঐ পাক অংশের উপর নামাজ পড়া যাবে।
৯। কুকুরের শরীর নাপাক নয়। কিন্তু কুকুরের মুখের লালা নাপাক।কারো শরীর অথবা কাপড়ে যদি কুকুরের ছৌয়া লাগে ঐ কুকুর ভিজা শরীর হলেও তথাপি শরীর এবং কাপড় নাপাক হবে না। তবে
কুকুরের গায়ে যদি কোন জায়গায় নাপাকি লেগে থাকে তাহলে সেই কুকুরের ছোয়া লাগা শরীর বা কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন: জামাতে নামাজ পড়ার গুরুত্ব