নামাজের প্রতিদান ও ফজীলত
Share this
নামাজের ইহকালীন কল্যাণ
নামাজের উদ্দেশ্য-লক্ষ্যের প্রতি সচেতন হয়ে এবং নামাজের শর্ত-শরায়েতগুলো পরিপূর্ণ করে যদি সঠিকভাবে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয়, তাহলে এ নামাজ মানুষকে পাক-পবিত্রতার মাধ্যমে সুন্দর এবং সরল জীবন-যাপনে আকৃষ্ট করে তার সাথে নৈতিক চরিত্র গঠনে ও আত্মার উন্নতি সাধন করে থাকে।
হযরত আবু হুরায়ারা রা, হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি রাসূল করীম স. কে একথা বলতে শুনেছেন যে তোমরা কি মনে কর যদি কারো ঘরের দরজায় কোন খাল থাকে এবং তাতে সে প্রত্যেক দিন পাঁচবার করে নিয়মিত গোসল করে তবে একি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে দেবে? সাহাবাগণ বললেন না,
তার দেহে কোন ময়লা থাকবে না। তখন নবী করীম সা. বললেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্তও ঠিক এরূপ আল্লাহ এর সাহায্যে যাবতীয় গুণাহ খাতা দূর করে দেন।নামাজের পরকালীন সফলতা: একজন প্রকৃত মুসলমানের চরম এবং পরম পাওনা হল আখিরাত বা পরকালের পাওনা।
দুনিয়ায় মানুষ যত কিছুই লাভ করুক না কনে তা ভোগ করার সময় সীমা কিন্তু সীমিত। পক্ষান্তরে পরকালের জীবন যেমন অনন্ত-অসীম তেমনী এর ভোগ করারও কোন সময়সীমা নেই। এ ক্ষেত্রে নামাজ পরকালীন শান্তিকে নিশ্চিত করে।
যারা নিজেদের নামাজ সম্পূর্ণ হেফাজত করে এ লোকেরা সেই লোকদেরই উত্তরাধিকারী, যারা উত্তরাধিকার হিসাবে ফেরদাইস পাবে এবং সেখানে তারা চিরদিন থাকবে।
হযরত উবাদা ইবনুচ্ছামিত রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ স. কে বলতে শুনেছি:
পাচ ওয়াক্তের নামাজ আল্লাহ তালা বান্দর উপর ফরজ করেছেন। যে লোক ইহা যথাযথভাবে আদায় করবে এবং এর অধিকার ও মর্যাদার হক এক বিন্দুও নষ্ট হতে দেবেনা তার জন্যে আল্লাহর প্রতিশ্রুতি নেই।
তিনি ইচ্ছা করলে তাকে আজাব দেবেন আর ইচ্ছা করলে জান্নাতে দাখিল করবেন।
অপর এক বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন-
এমন কোন ব্যক্তি কখনো দোযখে প্রবেশ করবেন, যে সূর্য উদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামাজ পড়েছে। অর্থাৎ ফজরের নামাজ ও আছরের নামাজ। এখানে পাচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজর এবং আছরের নামাজের কথা বিশিষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এ জন্য যে,
এ সময় দুটো মানুষের নামাজ পড়তে পারে তাদের জন্য অন্য তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়া তেমন কঠিন নয়। যারা সাধারণভাবে প্রত্যেক নামাজের প্রতি যত্নশীল হয়ে আছর ও ফজেরর নামাজের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখে তারাই নামাজের উল্লেখিত ফজীলত লাবের সক্ষম হবে।
আরো পড়ুন