জানতে হবে

নামাজের সময়সূচি

Share this

ফজরের নামাজের সময়

সুবহে সাদিক্ব প্রকাশ হওয়ার পর হতে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত থাকে।

যোহরের নামাজের সময়

সূর্য পশ্চিম আকাশে গড়াবার সাথে সাথেই যোহরের ওয়াক্ত আরম্ভ হয় এবং প্রত্যেক বস্তুর আছলি ছায়া বাদ দিয়ে ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত থাকে । সূর্য ঠিক মাথার উপর আসলে ছায়া যতটুকু হয় তাকেই ছায়া আসলি বলে।

মাগরিবের নামাজের সময়

সূর্য আস্ত যাওয়ার পর থেকে আরম্ভ হয় এবং পশ্চিম আকাশের লাল বর্ণ শেষ হওয়া পর্যন্ত বাকি থাকে।

ইশার নামাজের সময়

পশ্চিম আকাশের লাল বর্ণের পর সাদা বর্ণ চলে যাওয়ার পর শুরু হয় এবং সুবহে সাদিক্বের পূর্ব পর্যন্ত থাকে।

বিতির পড়ার সময়: ইশার নামাজের পরেই বিতির পড়া উচিৎ। অবশ্য যারা নিয়মিতভাবে শেষ রাতে উঠতে অভ্যস্ত তাদের জন্য শেষ রাতে পড়া সুস্তাহাব। অন্যথায় এশার নামাজের সাথে বিতির নামায পড়া ভাল।

দু ঈদের নামাজের সময়

যখন সূর্যোদয়ের পর তার হলুদ বর্ণ শেষ হয়ে পড়ে তখন দু ঈদের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়, এবং সূর্য ঢলে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত থাকে। ঈদুল ফিতরের নামাজ একটু বিরম্বে এবং ঈদুর আজহার নামাজ একটু আগে পড়া মুস্তাহাব।

নামাজ পড়ার নিষিদ্ধ সময়

১। সূর্য উঠার সময় হতে (পারবর্তী ২৩ মিনিট) আরম্ভ করে যতক্ষণ পর্যন্ত হলুদ রং ভালোভাবে চলে না যায় এবং আলো ভালভাবে ছড়িয়ে না পড়ে।

২। ঠিক দুপুরবেলা (যোহর শুরু হওয়ার পূর্ববর্তী ২৭ মিনিট) যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য মধ্য আকাশ হতে ঢলে না পড়ে।

৩। সূর্যের লাল রং ধারণ করার পর হতে ডুবে যাওয়ার (২৩ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত)

৪। উপরোক্ত তিন সময়ে প্রত্যেক নামাজ নিষিদ্ধ।

তা ফরজ, সুন্নাত, নফল, ওয়াজিব বা সুন্নাতে মুয়াক্বাদাহ যাই কোন না কেন। এ সময়ে শুকরিয়া সিজদা এবং সিজদায়ে তেলাওয়াত নিষিদ্ধ। প্রথম থেকে নামাজ শুরু করার পর যদি এ নিষিদ্ধ সময় এসে পড়ে তা হলে নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।

তবে জানাযা আসলে তা বিলম্ব না করে পড়ে নিতে পারবে। কোন কারণে এ দিনের আছেরের নামাজ ক্বাজা হয়ে গেলে এ মাকরূহ সময়েও পড়া যাবে।

আরো পড়ুন:- নফল নামাজ বিবরণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *