প্রশ্ন-উত্তর

নামাজের আরকান আহকাম

Share this

নামাযের আরকান-আহকাম কাকে বলে

নামাজ শুরু করার আগে ৭টি এবং মধ্যে ৬টি, সর্বমোট ১৩টি কাজ ফরয। এগুলোকেই নামাযের আহকাম-আরকান বলে ।

নামাযের আহকাম ৭টি

শরীর পাক থাকা।পরিধানের কাপড়-চোপড় পাক থাকা।
নামাযের জায়গা পাক থাকা ।কেবলামুখী হয়ে নামায পড়া।
সতর ঢাকাওয়াক্তমত নামায পড়া।
নামাযের নিয়্যাত করা ।

নামাযের আরকান ৬টি

তাকবীরে তাহরীমা বাধাকেয়াম অর্থাৎ দাঁড়িয়ে নামায পড়া।
ক্বেরাত পাঠ করা।রুকু করা।
সেজদা করা।শেষ বৈঠক করা ।

আরো পড়ুন:- জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম ও ফজিলত

নামাযের সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ

১। ফজরের দুই রাকআত সুন্নত ।

২। জোহরের প্রথম চার রাকআত ও শেষের দুই রাকআত সুন্নত ।

৩ । মাগরিবের ফরযের পরের দুই রাকআত সুন্নত ।

৪ । এশার ফরযের পরের দুই রাকআত সুন্নত ।

৫।কাবলাল জুমু’আ চার ও বা’দাল জুমু’আর চার রাকআত বাদাল জুমুআর পরে দুই রাকআত সুন্নাতুল ওয়াক্ত।

৬। তারাবীহর বিশ সুন্নত রাকআত সুন্নত।

নামাযের সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ

১। আছরের চার রাকআত।

২। এশার চার রাকআত।

৩। দুখুলুল মসজিদ দুই রাকআত।

৪। তাহিয়্যাতুল ওযু দুই রাকআত ।

৫। এশরাক চার রাকআত ।

৭। চাশত চার রাকআত ।

৮ । ছালাতুত্তাসবীহ চার রাকআত।

৯। ইস্তেখারা দুই রাকআত ।

১০। তাহাজ্জুদ চার হতে বার রাকআত।

১১। কছুফের দুই রাকআত।

১২। খছুফের দুই রাকআত ।

১৩। আওয়াবীন ৬-২০ রাকআত ।

মসজিদের আহকাম

১। নামায পড়ার জন্য মুসল্লিদের আসতে বাধা হয় এমনভাবে মসজিদের দরজা বন্ধ করা মাকরূহ্ তাহরিমি। অবশ্য নামাযের সময় ব্যতিরেকে অন্য সময় মাল-আসবাবের হেফাযতের জন্য দরজা বন্ধ করা জায়েয আছে। নিষিদ্ধ, মসজিদের ছাদের উপরও এই সব কাজ করা নিষিদ্ধ ।

২। মসজিদের ভিতর যেরূপ বাহ্য, প্রস্রাব, স্ত্রীসঙ্গম ইত্যাদি গর্হিত কাজ করা

৩। যে ঘরে নামাযের জায়গা নির্ধারিত আছে, ঐ পুরা ঘরের উপর মসজিদের হুকুম বর্তাবে না

৪। ওয়াফের টাকা দ্বারা মসজিদের দেয়ালে কারুকার্য করা জায়েয নেই । যদি কেউ নিজের হালাল টাকা দ্বারা কারুকার্য করতে চায়, তবে দোষ নেই । কিন্তু মোবের এবং পশ্চিম দিকের দেয়ালে সৌন্দর্যের জন্য কারুকার্য করা নিজের হালাল টাকা দ্বারা হলেও মাকরূহ্ ।

৫। শিশু বা পাগলকে মসজিদে ঢুকতে দেয়া নিষেধ। শোরগোল করা, উচ্চৈঃস্বরে চেঁচানো, কবিতা পাঠ করা, দুনিয়াবি দেন-দরবার করা, ভিক্ষা করা, হারানো জিনিস ভিতর নিষেধ । তালাশের জন্য ঘোষণা করা, খাওয়া-দাওয়া করা, গল্প-গুযব করা ইত্যাদি মসজিদের

৬। মসজিদের দেয়ালে বা ছাদে কুরআনের আয়াত বা আল্লাহর পবিত্র নাম লেখা ভাল নয় ৷ বিনা প্রয়োজনে মসজিদের ছাদ পা দিয়ে মাড়ানো মাকরূহ্

৭। মসজিদের ভিতর বা মসজিদের দেয়ালে থুথু বা কাশি ফেলা মাকরূহ্ । যদি নাক ঝাড়ার বা থুথু ফেলার দরকার পড়ে, তবে বাইরে গিয়ে ফেলে আসবে, অথবা নিজের রুমালে নিয়ে বাইরে ফেলবে। জুতা যদি পাকও হয় তবুও বাইরে হাঁটার পর জুতা পায়ে দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা মাকরূহ ।

৮। অযূ-গোসল বা কুলির পানি মসজিদে ফেলা মাকরূহে তাহরিমী

৯। অপবিত্র অবস্থায় বা হায়েয-নেফাসের অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা হারাম । দুর্গন্ধযুক্ত অথবা নাপাক কোনো জিনিস নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা মাকরূহ্ তাহরিমী।

যেমন গন্ধক বা কেরোসিন তৈল, পিঁয়াজ, রসুন, তামাক অথবা হুক্কার দুর্গন্ধ ইত্যাদি। নাপাক জিনিস, যথা- বাহ্য, প্রস্রাব বা বীর্যযুক্ত কাপড়, গোবর ইত্যাদিসহ জুতা। গোবর বা নাপাক পানি ইত্যাদি দ্বারা মসজিদ লেপা মাকরুহ্। মসজিদের ভিতর পেটের বায়ু ছাড়া মাকরুহ্। যদি বায়ুর বেগ টের পাওয়া যায়, তখন বাইরে গিয়ে বায়ু ছেড়ে অযূ করে মসজিদে আসবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *