প্রশ্ন-উত্তর

নামাজের ফরজ কয়টি

Share this

নামাজ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় বিষয়

ইতিপূর্বে নামাজ পড়ার নিয়ম বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে কতগুলো কাজ ফরজ, কতগুলো ওয়াজিব এবং কতগুলো সুন্নত ও মুস্তাহাব আছে । কোনো একটি ফরজ যদি কেউ তরক করে- জানিয়েই করুক বা ভুলেই করুক, তার নামাজ আদৌ হবে না, নামাজ পুনরায় পড়তে হবে।

যদি কেউ স্বেচ্ছায় একটি ওয়াজিব ছেড়ে দেয় তবে সে শক্ত সিজদা’ দিতে হবে। সুন্নত বা মুস্তাহাব তরক করলে নামাজ হয়ে যায়, কিন্তু সওয়াব কম গুনাগার হবে এবং নামাজ দোরাতে হবে। ভুলে একটি ওয়াজিব তরক করলে ‘ সাহু হয় ।

নামাজের ফরজসমূহ

নামাজের বাইরের ফরজসমূহ

নামাজ শুরু করার পূর্বে ৭টি কাজ ফরজ । যথা—

১। শরীর পাক হওয়া : শরীরে কোনো নাজাসাত লাগলে তা পাক করে নিবে। গোসলের প্রয়োজন থাকলে গোসল আর অযূ না থাকলে অযূ করে নিবে নিবে ।

২। কাপড় পাক হওয়া ঃ কাপড়ে যদি নাজাসাত লেগে থাকে তবে তা পাক করে

৩। জায়গা পাক হওয়া ঃ যে জায়গায় বিছানা মাটি বা কাপড়ে নামাজ পড়বে তাও পাক হওয়া চাই ।

৪। সতর ঢাকা ঃ পুরুষের সতর নাভী হতে হাঁটু পর্যন্ত; কিন্তু কাপড় থাকলে পায়জামা, লুঙ্গি, কোর্তা ইত্যাদি পরে নামাজ পড়া সুন্নত । স্ত্রীলোকের সতর হাতের কব্জি এবং পায়ের পাতা ব্যতিরেকে মাথা হতে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীর

৫। নামাজের নিয়্যত করা : যে নামাজ পড়বে, সে মনে মনে চিন্তা করে খেয়াল করে নিবে যে, অমুক নামাজ, যেমন — ফজরের দুই রাকাত নামাজ আল্লাহ্ পালনের জন্য এবং তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য পড়ছি।

৬। ওয়াক্ত হওয়া ঃ ওয়াক্ত হবার পূর্বে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না ।

৭। কিবলামুখী হওয়া ঃ কিবলামুখী বা কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে হবে।

নামাজের ভেতরের ফরজসমূহ নামাজের ভেতরে ছয়টি কাজ ফরজ । যথা-

(১) তাকবীরে তাহ্রিমা অর্থাৎ, নামাজের নিয়্যতের সঙ্গে সঙ্গে ‘আল্লাহু আকবর’

(২) কিয়াম বা দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া ।

(৩) — কিরাত’ পড়া। কুরআন শরীফ হতে একটি পূর্ণ লম্বা আয়াত অথবা ছোট তিন আয়াত বা সূরা পাঠ করা।

(৪) রুকু-করা, অর্থাৎ মস্তক অবনত করে খোদার সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে দেয়া । (৫) দুই সিজদা করা- দুইবার আল্লাহ্ সামনে মস্তক মাটিতে রাখা ।

(৬) শেষ বৈঠক- নামাজের শেষ ভাগে (খোদার সামনে) আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পরিমাণ সময় বসা।

আরো পড়ুন:- নামাজে সূরা মিলানোর নিয়ম

সতর ঢাকা প্রসঙ্গে

মাসয়ালা ঃ যে পাতলা কাপড়ে শরীর দেখা যায়, সেরকম পাতলা কাপড় পড়ে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না। যেমন, ফিনফিনে পাতলা এবং জালিদার তৈরি কাপড়ের উড়না পরে নামাজ পড়া দুরস্ত নয় ।

কোনো এক অঙ্গের এক চতুর্থাংশ খোলা থাকে, তবে নামাজের শুরুই দুরস্ত হবে না । ঐ মাসয়ালা : নামাজ শুরু করার সময় যদি সতরের মধ্যে যতগুলো অঙ্গ আছে, তার পরে নামাজের মধ্যে খুলে গিয়ে এতটুকু সময় খোলা থাকে যে, তাতে তিনবার জায়গা ঢেকে পুনরায় নামাজ শুরু করতে হবে। যদি শুরু করার সময় ঢাকা থাকে, কিন্তু যদি খোলামাত্রই সাথে সাথে ঢেকে নেয়া হয়, তবে নামাজ হয়ে যাবে । সুবহানাল্লাহ্’ বলা যায়, তবে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে; পুনরায় নামাজ পড়তে হবে। কিন্তু

মাসয়ালা ঃ স্ত্রীলোকের পায়ের নলার এক চতুর্থাংশ, হাতের বাজুর এক চতুর্থাংশ, এক কানের চার ভাগের এক ভাগ, মাথার চার ভাগের এক ভাগ, চুলের এক চতুর্থাংশ, পেট, পিঠ, ঘাড়, বুক বা স্তনের এক চতুর্থাংশ খোলা থাকলে নামাজ হবে না। আর গুপ্ত অঙ্গসমূহের কোনো একটির যেমন রানের এক চতুর্থাংশ খোলা থাকলে স্ত্রী বা পুরুষ কারে৷র নামাজ আদায় হবে না।

মাসয়ালা ঃ নাবালেগা মেয়ে নামাজ পড়ার সময় যদি তার মাথায় ঘোমটা সরে মাথা খুলে যায়, তবে এতে তার নামাজ নষ্ট হবে না। কিন্তু বালেগা মেয়ে হলে নামাজ নষ্ট হবে ।

মাসয়ালা ঃ যদি কারোর নিকট মোটেই কাপড় না থাকে, তবে বিবস্ত্র অবস্থায়ই নামাজ পড়বে, কিন্তু এমন স্থানে নামাজ পড়বে যেন কেউ দেখতে না পায় এবং দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বে না, বসে পড়বে এবং ইশারায় রুকু সিজ্দা করবে, আর যদি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে এবং রুকু সিজ্দা করে, তবে তাও জায়েয আছে। নামাজ হয়ে যাবে, তবে বসে পড়া ভাল ।

মাসয়ালা : নামাজ পড়ার সময় যদি অন্য কোনো লোকের কারণে ওযরবশত সতর ঢাকতে না পারে, তবে না ঢাকা অবস্থাতেই নামাজ পড়বে। যেমন, জেলের ভিতর পুলিশ যদি সতর ঢাকা পরিমাণ কাপড় না দেয় কিংবা কোনো যালেম কাপড় পরলে হত্যার ভয় দেখায়, তবে ঐ অবস্থাতেও নামাজ ছাড়া যাবে না ।

নামাজ পড়তেই হবে; কিন্তু এই ওযর চলে গেলে পরে ঐ নামাজ দোরিয়ে পড়তে হবে। আর যদি সত ঢাকতে না পারার কারণের উৎপত্তি কোনো লোকের পক্ষ হতে না হয়; যেমন, তার কাছে কোনো কাপড়ই নেই, তবে উলঙ্গ অবস্থাতেই নামাজ পড়তে হবে, পরে কাপড় পেলে ঐ নামাজ পুনরায় পড়ার অবশ্যকতা নেই ।

মাসয়ালা : কারোর নিকট এতটুকু কাপড় আছে যে শুধু তার দ্বারা সতর ঢাকতে পারে, অথবা সম্পূর্ণ নাপাক জায়গার ওপর বিছিয়ে তার ওপর নামাজ পড়তে পারে, এমতাবস্থায় তার কাপড়-টুক্রা দ্বারা প্রথমে সতর ঢাকতে হবে এবং একান্ত যদি পাক জায়গা না পায়, তবে সেই নাপাক জায়গায়ই নামাজ পড়বে। তবুও নামাজ ছাড়তে পারবে না বা সতর খুলতে পারবে না ।

নামাজের স্থান পবিত্র হওয়া সম্পর্কে

মাসয়ালা : নামাজ পড়ার জায়গা নাজাসাত হতে সম্পূর্ণ পাক হতে হবে, তা মাটিই হোক বা বিছানাই হোক । কিন্তু নামাজের জায়গার অর্থ দুই পা, সিজদার সময় দুই হাঁটু, দুই হাতের তালু, কপাল এবং নাক রাখার জায়গা।

মাসয়ালা ঃ যদি শুধু এক পা রাখার জায়গা পাক থাকে, নামাজের সময় অপর পা উঠিয়ে রাখে, তবুও নামাজ হয়ে যাবে ।

মাসয়ালা : কোনো কাপড় বা বিছানার ওপর নামাজ পড়লে যদি ঐ কাপড় বা বিছানার সব জায়গা নাপাক থাকে শুধু উপরিউক্ত পরিমাণ পাক থাকে, তবুও নামাজ শুদ্ধ হবে।

মাসয়ালা : কোনো নাপাক মাটি বা বিছানার ওপর পাক কাপড় বিছিয়ে তার ওপর নামাজ পড়তে হলে ঐ কাপড় পাক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটাও শর্ত আছে যে, তা মোটা হতে হবে । এত চিকন যেন না হয়, যাতে নিচের জিনিস দেখা যায় ।

নামাজের জন্য দেহ ও কাপড় পাক হওয়া সম্পর্কে

মাসয়ালা ঃ যদি শরীরের বা কাপড়ের কিছু অংশ নাপাক থাকে এবং ঘটনাক্রমে তা ধুবার জন্য পানি কোথাও পাওয়া না যায়, তবে ঐ নাপাক শরীর বা কাপড় নিয়েই নামাজ

পড়বে, তবুও নামাজ ছাড়বে না ।

মাসয়ালা : যদি সমস্ত কাপড় নাপাক থাকে বা চার ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম পাক থাকে, আর ধুবার জন্য পানি কোথাও পাওয়া না যায় তবে তার জন্য ঐ নাপাক কাপড় নিয়ে নামাজ পড়া দুরুস্ত আছে।

যদিও ঐ কাপড় খুলে রেখে (এরূপ অবস্থায় উলঙ্গ হয়ে নামাজ পড়া দুরুস্ত আছে কিন্তু) নাপাক কাপড় পরেই নামাজ পড়া উত্তম; কেননা, তাতে ওযরবশত সতর ঢাকার ফরজ আদায় হল । কিন্তু যদি এক চতুর্থাংশ বা বেশি পাক থাকে, তবে কাপড় খুলে রাখা জায়েয হবে না, ঐ কাপড়েই নামাজ পড়া ওয়াজিব ।

মাসয়ালা ঃ যদি অন্য কোথাও পানি না পাওয়া যায় সামান্য কতটুকু পানি কাছে আছে যে, অযূ করলে নাপাকি ধোয়া যায় না, আর নাপাকি ধুইলে অযূ করা যায় না। এমতাবস্থায় ঐ পানি দ্বারা নাপাকি ধুবে এবং পরে অযূর পরিবর্তে তায়াম্মুম করবে ।

মাসয়ালা : নাপাক কাপড় ধুয়ে পাক করলে যখন ইচ্ছা সেই ভিজা কাপড়ে নামাজ পড়া দুরুস্ত আছে ।

মাসয়ালা ঃ যদি নামাজ পড়ার সময় নামাজির কাপড়ে কোনো নাপাক স্থানে গিয়ে পড়ে, তাতে কোনো ক্ষতি নেই (কাপড়ে যদি নাপাকি না লাগে)

মাসয়ালা : যদি একখানা কাপড়ের এক কোণ নাপাক হয় এবং অন্য কোণ পরে নামাজ পড়তে চায়, তবে দেখতে হবে যে, নামাজ পড়ার সময় নাপাক কোণ টান লেগে নড়েচড়ে কি না? যদি নাপাক কোণ নড়েচড়ে, তবে নামাজ হবে না, না নড়লে আদায় হয়ে যাবে।

আর নামাজ পড়ার সময় নামাজির হাতে, জিহ্বায় বা কাঁধে কোনো নাপাক জিনিস থাকলে তার নামাজ হবে না। কিন্তু যদি কোনো নাপাক জীব নিজে এসে তার শরীরে লাগে বা বসে অথচ তার শরীরে বা কাপড়ে কোনো নাপাকি লাগে নি, তবে তাতে তার নামাজ নষ্ট হবে না।

অবশ্য নাপাকি লাগলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। যেমন, কেউ নামাজ পড়ছে হঠাৎ একটি কুকুর তার গায়ে লেগে গেল, অথবা তার শিশু সন্তান কোলে বা কাদে চড়ে বসল । এমতাবস্থায় কুকুর বা শিশুর গায়ে যদি শুষ্ক কনা নাপাকি থাকে, তবে তাতে নামাজ নষ্ট হবে না, কিন্তু যদি ভিজা নাপাকি থাকে এবং তা নামাজির গায়ে কিংবা কাপড়ে লাগে, তবে নামাজ নষ্ট হবে ।

যদি শিশুর গায়ে প্রস্রাব লেগে বা বমি লেগে তা ধুবার পূর্বেই শুকিয়ে যায়, তবে সেই শিশুকে কোলে বা কাঁধে নিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না। এভাবে যদি কোনো নাপাক বস্তু শিশিতে বা তা’বিযে মুখ বন্ধ করে সঙ্গে নিয়ে নামাজ পড়ে, তবুও নামাজ হবে না। কিন্তু নাপাক বস্তু স্বীয় জন্মস্থানে থাকলে তা (যেমন, একটি আস্ত পচা ডিম) সঙ্গে নিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ হয়ে যাবে; কেননা, এই নাপাকি ঐ রকম যেমন মানুষের পেটেও নাপাকি থাকে ।

কিবলামুখী হওয়া প্রসঙ্গ

যদি কোন ব্যক্তি এমন জায়গায় গিয়ে পড়ে যে, সেখানে কিব্‌লা কোনো দিকে তা ঠিক করতে পারে না এবং এমন লোকও না পায় যে, তার কাছে জিজ্ঞেস করতে পারে, তবে সে চিন্তা— ভাবনা করে কিলার দিক ঠিক করবে। অর্থাৎ, মনে মনে চিন্তা করবে কিবলা কোনো দিকে । চিন্তার পর মন যে দিকে সাক্ষ্য দিবে সেই দিকে মুখ করে নামাজ পড়বে।

এমন অবস্থায় যদি চিন্তা-ভাবনা না করে নামাজ পড়ে তবে নামাজ হবে না। কি যদি পরে জানতে পারে যে, ঠিক কিবলার দিক হয়েই নামাজ পড়েছে, তবুও নামাজ হবে না। যদি সেখানে কোনো লোক থাকে,তবে চিন্তা করা চলবে না।

সেই লোকের নিকট জিজ্ঞেস না করে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না । স্ত্রীলোক লজ্জায় জিজ্ঞাসা না করে অনুমান করে একদিকে নামাজ পড়লে তারও নামাজ হবে না। খোদার হুকুম পালন করার বেলায় লজ্জা করবে না, সাহস করে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে ।

মাসয়ালা : কোনো লোক না থাকায় যদি জিজ্ঞাসা করতে না পারে অনুমান করে নামাজ পড়ে থাকে এবং পরে নামাজ শেষ হলে জানতে পারে যে, কিবলা ঠিক হয়নি, তবুও নামাজ হয়ে যাবে।

নামাজ দোরাতে হবে না। কেননা, এমন অবস্থায় তার ‘জেহাতে তাহাররি— অর্থাৎ, যে দিকে তার মন সাক্ষ্য দেয় সেই দিক হয়ে নামাজ পড়াই তার ওপর ফরজ ছিল, তা সে আদায় করেছে, কাজেই তার নামাজ হয়ে যাবে

উপরিউক্ত অবস্থায় চিন্তা করে এক দিক কিবলা ঠিক করে নামাজ শুরু করেছে, নামাজের মাঝখানে হয়ত নিজেই জানতে পেরেছে যে, পূর্বের মত ভুল হয়েছে, অথবা কেউ বলে দিয়েছে যে, ওদিকে কিবলা নয়, তবে সহীহ্ কিবলা জানার পর তৎক্ষণাৎ সেই দিকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, জানার পর যদি সহীহ্ কিবলার দিকে ঘুরে না দাঁড়ায়, তবে নামাজ হবে না ।

মাসয়ালা : যদি একদল লোক এমন অবস্থায় পতিত হয় যে, কিব্‌লা কোন্ দিকে তা কেউই জানে না (এবং জিজ্ঞেস করার লোকও পায় না) অথচ জামাতে নামাজ পড়তে চায়, তবে প্রত্যেকেই নিজ নিজ চিন্তা-ভাবনা পৃথক (স্বাধীন) ভাবে করবে এবং তদানুযায়ী নামাজ পড়বে (চিন্তা করে মন ঠিক করার পর যদি কয়েকজনের মত একদিকে হয়,

তবে সেই কয়জন এক সঙ্গে জামাত করে নামাজ পড়তে পারবে), কিন্তু যার মত ইমামের মতের সঙ্গে মিলবে না, সে ঐ ইমামের পিছে ইক্তেদা করতে পারবে না। সে পৃথকভাবে নামাজ পড়বে। কেননা, তার মতে ঐ ইমাম ভুল মত পোষণ করে কিবলা ভিন্ন অন্য দিক হয়ে নামাজ পড়ছে এবং ফরজ তরক করেছে। কেননা, কাউকেও সুতরাং ঐ ইমামের পেছনে ইক্তেদা করলে তার নামাজ হবে না ।

খোদার বিরুদ্ধে ভুল মত পোষণকারী মনে করে তার পেছনে ইক্তেদা করা জায়েয নয়;

মাসয়ালা : কাবা শরীফের ঘরের ভেতরও নামাজ পড়া দুরুস্ত আছে- তা নফলই হোক, আর ফরজই হোক ।

মাসয়ালা : কা’বা ঘরের ভিতরে নামাজ পড়লে যে দিক ইচ্ছা সেই দিক হয়ে নামাজ পড়বে, সেখানে কিবলা সব দিকেই ।

মাসয়ালা ঃ একদল লোক এমন জায়গায় আছে যেখান থেকে কা’বা শরীফের ঘর স্পষ্ট দেখা যায়, তবে তাদের ঠিক কা’বা ঘরের দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে হবে। তাদের জন্য পূর্ব পশ্চিম বা উত্তর দক্ষিণের কোনো কথাই নেই। কিন্তু যারা দূরবর্তী স্থানে আছে তারা কা’বা শরীফের ঘর যে দিকে আছে সেই দিকে ফিরে নামাজ পড়বে। কা’বা শরীফের ঘরের পূর্ব দিকের লোক পশ্চিম দিকে, পশ্চিম দিকের লোক পূর্ব দিকে, উত্তর দিকের লোক দক্ষিণ দিকে এবং দক্ষিণ দিকের লোক উত্তর দিকে মুখ করে নামাজ পড়বে। ফলকথা, পৃথিবীর যে কোনো স্থানে কোন মুসলমান থাকুক না কেন, তাকে কা’বা শরীফের দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে হবে।

মাসয়ালা ঃ যদি কেউ নৌকায়, স্টিমারে বা রেলগাড়িতে কিবলা ঠিক করে কিলার দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে দাঁড়ায় এবং পরে নৌকা, গাড়ি ইত্যাদি ঘুরে যায়, তবে তাকে যানবাহনের সাথে সাথে ঘুরে কিলার দিকে মুখ না করলে নামাজ হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *