ফরজ অর্থ কি | ফরজ কাকে বলে
Share this
ফরজ আরবি শব্দ, যার অর্থ অবশ্য কর্তব্য কোন ধর্মীয় কাজকে বুঝায়।
ফরজ কাকে বলে
যে কাজটি আল্লাহর তরফ হতে সুনিশ্চিতরূপে আদেশ করা হয়েছে তাকে ‘ফরজ‘ বলে। ফরজ কাজ যে না করবে দুনিয়াতে তাকে ফাসেক বলা হবে এবং আখেরাতে সে শাস্তির উপযুক্ত হবে । আর ফরজ অস্বীকারকারী কাফের বলে বিবেচিত হবে।
শরীয়তের বিধানাবলী
শরীয়তে যতগুলো বিধান আছে, তা মোট ৮ ভাগে বিভক্ত । যথাঃ (১) ফরজ, (২) | ওয়াজিব, (৩) সুন্নত, (৪) মুস্তাহাব, (৫) হারাম, (৬) মাকরূহ্ তাহ্রিমি (৭) মাকরূহ্ তাযিহি,
(৮) মুবাহ বা জায়েয ।
ফরজ কাজ সমূহ
কালেমা, নামায, রোযা, যাকাত, হজ্জ, অঙ্গীকার (ওয়াদা) পালন করা, আমানতের হেফাযত করা, সত্য কথা বলা, হালাল রুজি খাওয়া, ইমে দ্বীন শিক্ষা করা, জিহাদ করা ইত্যাদি।
ফরজ দুই প্রকার । যথাঃ
- ফরজে-আইন ও
- ফরজে কেফায়া ।
ফরজে-আইন কাকে বলে
যে কাজ প্রত্যেক বালেগ বুদ্ধিমান নর-নারীর ওপর সমভাবে ফরজ। যেমন, পাচ ওয়াক্ত নামায পড়া, আবশ্যক পরিমাণ ইমে-দ্বীন শিক্ষা করা, জুময়ার নামায পড়া ইত্যাদি ।
ফরজে কেফায়া কাকে বলে
যা কিছু লোক পালন করলে সকলেই গুনাহ্ হতে বেঁচে যাবে; কিন্তু যদি কেউই পালন না করে, তবে সকলেই ফরজ তরকের জন্য গুনাগার হবে। আর যারা পালন করবে তারা ফরজেরই সওয়াব পাবে যেমন, জানাযার নামায পড়া, মৃত ব্যক্তিকে কাফন-দাফন করা, আবশ্যক পরিমাণের অতিরিক্ত ইমে-দ্বীন শিক্ষ, ক্রা, দ্বীন প্রচার করা, ইসলামি খেলাফত স্থাপন করা, ইসলামি রাষ্ট্রের শৃংখলা রক্ষার্থে ইমাম বা আমিরুল মু’মিনীন নিযুক্ত করা ইত্যাদি ।
আরো পড়ুন:- তায়াম্মুমের নিয়ম, সুন্নাত এবং তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি