কবীরা গুনাহ মাফের উপায়
Share this
কবিরা গুনাহ কি “কবীরা” শব্দের অর্থ বড়। এ গুনা তওবা ব্যতীত ক্ষমা হয় না । কবীরা গুনাহসমূহ-
(১) আল্লাহ তা’আলার সাথে অন্য কাউকে অংশীদার স্থির করা।
(২) অনর্থক কাউকে হত্যা করা ।
(৩) মাতাপিতাকে কষ্ট বা গালি দেয়া ।
(৪) যিনা করা ।
(৫) ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
(৬) কোন সতী-সাধ্বী মহিলা বা সচ্চরিত্রবান পুরুষকে মিথ্যা যিনার অপবাদ
(৭) জিহাদ হতে পলায়ন করা ।
(৮) মদ্যপান করা ।
(১০) যুলুম করা ।
(১১) নিজেকে অপর হতে উত্তম মনে করা ।
(১২) কারও প্রতি কুধারণা পোষণ করা ।
(১৩) আল্লাহকে ভয় না করা ।
(১৪) আল্লাহ তা’আলার রহমত হতে নিরাশ হওয়া ।
(১৫) ফরয কার্য ছেড়ে দেয়া ।
(১৬) ওয়াদা ভঙ্গ করা।
(১৭) কুরআন শরীফ শিক্ষা করে ভুলে যাওয়া ।
(১৮) সত্যকে গোপন করা ।
(১৯) আল্লাহ তা’আলার নাম ব্যতীত অন্য নামে কসম করা ।
(২০) আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সিজদা করা।
(২১) কোরআন মজীদ তিলাওয়াতের স্থলে বাজে কথা বলা ।
(২২) চুরি করা ।
(২৩) যালিমকে তোষামোদ করা ।
(২৪) সুদ খাওয়া
(২৫) ওজনে কম দেয়া।
(২৬) ঘুষ খাওয়া।
(২৭) ছেলেদের সাথে কুকর্ম করা
(২৮) হায়েয-নেফাস অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা ।
(২৯) বেগানা মহিলার সাথে নির্জনে গল্প করা।
(৩০) বিধর্মীদের রীতিনীতি পছন্দ করা ।
(৩১) জুয়া খেলা ।
(৩২) গণকদের কথা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করা।
(৩৩) লোক দেখানো ইবাদত করা।
(৩৪) অঙ্গীকার ভঙ্গ করা।
(৩৫) ন্যায়বিচার না করা ইত্যাদি ।
কবীরা গুনাহ মাফের দোয়া
খাঁটি তওবা দ্বারা কবীরা গুনাহ মাফ হয়।
রিয়া, কৃপণতা বর্জনীয় : অন্য মানুষের সম্মুখে সম্মান লাভের উদ্দেশ্যে কোন সৎকার্য করাকে রিয়া বলে।
১। সূরা মাউনের টীকায় ইমাম সুফিয়ান হতে বর্ণিত, কপট লোকেরা আল্লাহ তা’আলার সন্তোষের জন্য নামায আদায় করেনা; বরং মানুষের নিকট সম্মানিত হওয়ার জন্য পড়ে থাকে । তারা পুঁজ ও ক্রেপূর্ণ জাহান্নামের নিম্নদেশে পতিত হবে ।
২। সহীহ বোখারী ও মুসলিম শরীফে আছে, প্রত্যেক দিন প্রাতঃকালে দুই জন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতার দানের বিনিময়ে সম্পদের প্রাচুর্য দান করুন এবং তার বংশ রক্ষা করুন। আর দ্বিতীয় ফেরেশতা বলেন, কৃপনের ধ্বংস সাধন করুন ।
৩। হাদীসে আছে, “প্রত্যেক দিন সূর্যোদয় হলে মানুষের প্রত্যেক গ্রন্থির উপর সদকা ওয়াজীব হয়ে যায়। যেমন দুই ব্যক্তির মধ্যে ন্যায় বিচার করা, কোন ব্যক্তিকে গাড়ীর উপর উঠিয়ে দেয়া, কারও কোন বস্তু তুলে দেয়া, মিষ্ট বাক্যলাপ করা,
নামাযের জন্য যাওয়াকালীন বেশী করে পা ফেলা, রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু,কণ্টক ইত্যাদি দূর করা। এ প্রত্যেকটি কাজ এক একটি সাদকা।”
বুখারী ও মুসলিম শরীফে আছে- “প্রত্যেক মানুষের শরীরে ৩৬০টি গ্রন্থি আছে। যে ব্যক্তি সংখ্যা পরিমাণ তকবীর, তাহমীদ কলেমা ও ইস্তেগফার পাঠ করবে, রাস্তা হতে কণ্টক ইত্যাদি দূরীভূত করবে, সৎকর্মের আদেশ এবং অসৎ কার্যে নিষেধ করবে সে ব্যক্তি স্বীয় আত্মাকে জাহান্নাম হতে মুক্ত করল ।
আরো পড়ুন:- গুণাহ মাফের দোয়া