জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম
Share this
বর্ণিত নিয়মানুসারে পাক পবিত্র হয়ে মসজিদে প্রবেশের সময় নিম্নোক্ত দোয়া – আল্লা-হুম্মাফ তাহলী আবওয়াবা রাহমাতিকা) পড়ে মসজিদে প্রবেশ করে জামায়াত শুরু হওয়ার পূর্বে সময় থাকলে দু রাকাত নামাজ পড়বে।
অথবা যে ওয়াক্ত পড়বে সে ওয়াক্তের সুন্নাত নামাজ থাকলে তা পড়লেও মসজিদে বসার পূর্বের নামাজ আদায় হবে। অনেকে মসজিদে প্রবেশ করে আগে বসে তারপর নামাজ কপড়ে। কিন্তু এরূপ করা ভুল।
রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন, তোমরা যখন মসজিদে প্রবেশ কর তখন বসার পূর্বে দু রাকাত নামাজ পড়ে নেবে।কাতার সোজা করে দাড়াতে হবে। নবী মুহাম্মদ স. একামতের পর নামাযীদের উদ্দেশ্য বলতেন, তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা কর এবং অবিচ্ছিন্নভাবে দাড়াও।
রাসূলুল্লাহ স. বলেন, তোমরা হয় কাতার সোজা কর নয় তো আল্লাহ তোমাদের অন্তরে বিভেদ সৃষ্টি করে দিবেন। রাসূলুল্লাহ স. আরো বলেছেন, তোমরা নামাজের কাতার ঠিক কর এবং গায়ে গায়ে লেগে পরস্পরের মাঝের ফাক বন্ধ করে দাড়াও।
এ সম্পর্কে আরও হাদীস রয়েছে। সুতরাং দাড়াবার সময় অবশ্যই কাতার সোজা রাখার প্রতি সজাগ থাকতে হবে। একামতের জবাব দেয়া মুস্তাহাব। একামত শেষে ইমামের নিয়তের সাথে সাথে মুক্তাদিও নিয়ত করবে।
নিয়ত মনের ব্যাপার মুখে উচ্চারণের বিষয় নয়। রাসূলুল্লাহ স. মখে নিয়ত উচ্চারণ করেননি। সাহাবায়ে কেরামম, তাবেয়ীনগণ মখে নিয়ত উচ্চারণ করেছেন বলে কোন প্রমান নেই।
ইমাম তাকবীরে তাহরিমা বলার পরপরই মুক্তাদি তাকবিরে তাহরিমা বলে পুরুষরা নাভীর নিচে এবং মহিলারা সিনার উপরে হাত বেধে দাড়াবে।
আরো পড়ুন: নামাজে যে সকল কাজ করা মাকরূহ
হাত বাধার নিয়ম হল পুরুষরা বাম হাতের তালু নাভীর নিচে রেখে ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর রেখে ডান হাতের বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠাঙ্গুলি দিয়ে বাম হাতের উপরে বিছানো থাকবে।
মহিলারা কেবল উভয় স্তনের উপরিভাগে বাম হাতের উপর ডান হাত রাখবে। ঈমাম আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাওয়ার সাথে সাথে মুক্তাদিও কুকুতে যাবে।
জামাতে নামাজ আদায়
রুকুতে পরির্পর্ণ স্থির হওয়ার পর রুকুর তাসবীহ ইমামের সাথে সাথে বেজোড় সংখ্যক যতবার পড়তে পারে পড়বে।ইমাম সামি আল্লাহু লিমান হামিদা পড়তে পড়তে দাড়িয়ে যাবে। এ সময় মুক্তাদি রব্বানা লাকাল হামদ পড়বে।
এ সময় প্রায়ই দেখা যায় ইমাম আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যাওয়ার পূর্বে কোন কোন মুক্তাদি সিজদা দেয়ার জন্য ঝুকে পড়ে। কিন্তু এটা সম্পূণৃ নাজায়েজ। ইমামা আল্লাহু আকবার বলে সিজদার উদ্দেশ্যে না জোকা পর্যন্ত মুক্তাদিকে স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকতে হবে।
সমান্যতম ঝোকাও ঠিক হবে না। ইমাম আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যাওয়ার সাথে সাথে মুক্তদিও সিজদায় যাবে। তারপর সিজদার তাসবি বিজোড় সংখ্যায় যতবার পড়া যায় পড়বে। ইমাম আল্লাহু আকবার বলে বসলে মুক্তাদিও বসবে।
এ সময় মুক্তাদি এমন ভাবে স্থির হয়ে বসতে হবে যেন কোন দিকেই ঝোক না থাকে। এ সময় দেখা যায় কেউ কেউ ইমামের পূর্বেই সিজদা যাওয়ার জন্য ঝুকে থাকে এটা সম্পূর্ণ নাজায়েজ।
এরপর ইমাম আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় গেরে মুক্তাদি ও আল্লাহু আকবার বলে সেজদায় যাবে। প্রথম সেজদার অনুরূপ সিজদা সম্পন্ন করে ইমাম আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে গেলে মুক্তাদীও তার সাথে আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে যাবে।
প্রথম রাকাতের মত দ্বিতীয় রাকাত শেষ করে দু রাকাতের নামাজ হলে এটাই শেষ বৈঠক করবে। দু রাকাতের বেশি হলে এ বৈঠকে কেবল আত্তাহিয়াতু পড়ে ইমামের সাথে আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে যাবে বাকী দুই অথবা এক রাকাত শুধু সূরা ফাতিহা পড়ে শেষ করবে।
শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়াত পড়ার পর দুরূদে ইব্রাহীম ও দোয়া মাসূরা পড়ে তারপর ইমাম সালাম ফিরালে ইমামের সাথে মুক্তাদিও সালাম ফিরাবে।
আরো পড়ুন: তওবার নামাজ