দোয়া

দোয়া কবুল হওয়ার আমল

Share this

দোয়া কবুল হওয়ার ভাল সময়

হাদীস শরীফে বর্ণনা করা আছে যে, ‘শেষ রাতে, সুবহে সাদিক, সূর্যোদয়ের সময় ও বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়।” আর জ্যোতিষীগণ নির্ণয় করেছেন শুভ মুহূর্ত, অশুভ মুহূর্ত, নক্ষত্রের প্রভাব, ঊর্ধ্ব ও নিম্নগামিতা এবং সংকট বা বিপদ মুহূর্তে ইত্যাদি। উদাহরণ বিজলি বর্ষন-চন্দ্ৰ মুহূর্তে প্রেম-ভালবাসার তাবীজ ও আমলকারীর নির্জন স্থানে বসবাস

আমলকারী যখন আমল করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করবে তখন প্রথম হতেই নির্জনে বসবাস করার জন্য জায়গা নির্ধারিত করবে। সাধারণ স্ত্রীলোক ও থেকে যায়, এর ফলে তাদের অন্তরের ভেতরে কলুষতার সৃষ্টি হয়। তখন বালিকাদের সংস্পর্শ হতে দূরে থাকবে । কারণ, তাদের সাথে মহব্বতের সম্ভাবনা আল্লাহ্র প্রতি অন্তরে একাগ্রতা থাকে না ।

আমলের ফলাফুল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত

ধৈর্য ধারণ করা এবং আমল ত্যাগ না করা আমলকারী যাতে সামান্য কিছু তাছির দেখে তার আমল ছেড়ে না দেয়, পূর্বের মতই আমল করতে থাকবে। এমনকি তার আমলে যদি কোন ফলাফল নাও দেখে তারপরে আমল ত্যাগ করা ঠিক হবে না । এজন্য যেন সে মনের আশা ছেড়ে না দেয় এবং এমন ধারণাও যাতে না করে যে, এমনভাবে আমল করলাম তারপরেও কোন সফলতা অর্জন করতে পারলাম না।

বৃথা সময় নষ্ট করে কোন মূল্য নেই। মনে রাখবে অনেক সময় নিজের অসতর্কতা ও অবহেলার জন্য আমল করতে গিয়ে ভুল থাকার কারণে ফলাফল প্রকাশ হয় না। এরপরও এই আমলে ব্যর্থ হবে না, একটু দেরিতে ফলাফল পাওয়া গেলে তা আরও বেশি শক্তিশালী এবং মজবুত হয় ।

আমল করার পূর্বে এবং শেষে দরূদ শরীফ পাঠ করবে

আমল ও তাবিজ লিখার পূর্বে এবং শেষে দরূদ শরীফ পাঠ করা অবশ্যই কর্তব্য। বর্ণনা করা হয়েছে যে, দরূদ শরীফ পাঠ না করা পর্যন্ত বান্দার দোয়া আল্লাহ্র কাছে কবুল হয় না। হযরত সুলায়মান দারানী মহান মাশায়েখগণ হতে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ্ তা’আলার কাছে কোন প্রকার প্রার্থনা করতে হলে প্রার্থনার আগে ও শেষে দরূদ শরীফ পাঠ করবে। কেননা, আল্লাহ্ তাআলা অবশ্যই দরূদ শরীফ কবুল করবেন।

আরো পড়ুন:- কবিরা গুণা মাফের দোয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *