গােসলের সুন্নত | সুন্নাত অনুযায়ী গােসল করার নিয়ম
Share this
গােসলকারী প্রথমে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ছওয়াবের নিয়্যত করে মিসওয়াক করে নিবে। তারপর “বিসমিল্লাহ” পাঠ করে ডান হাতে পানি দিয়ে দু’হাত কজি পর্যন্ত ধুবে। তারপর শরীরের কোথাও নাপাক লেগে থাকলে তা সাফ করবে।
তারপর দু’হাত ভাল করে ধুয়ে অজু করবে পা ধােয়া ব্যতীত। কুল্লি করার সময় মুখের ভিতর কণ্ঠদেশ পর্যন্ত পানি পৌঁছাতে হবে।
নাকে পানি দেয়ার সময় নাকের ভিতর নরম স্থান পর্যন্ত যাতে পানি ভাল রূপে পৌঁছে। গােসলের স্থানে পানি জমা হয়ে থাকলে গােসলের পর পুনঃরায় পা ধুবে। গােসল যদি ফরজ হয় তাহলে অজুতে “বিসমিল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন দু’আ পড়বে না। অজুর পর মাথায় পানি ঢালবে।
আরো পড়ুন: নামাজ পড়ার নিয়ম
তারপর ডান কাঁধের উপর এরপর বাম কাঁধের উপর পানি ঢালবে। সাবান দিয়ে হউক বা খালি হাতে হউক সমস্ত শরীর এমন ভাবে ঘষে ধুবে যেন কোন স্থানে শুকনাে না থাকে এবং শরীর ভালরূপে পরিস্কার হয়।
তারপর সমস্ত শরীরে এভাবে দু’বার পানি ঢালবে যাতে কোন জায়গায় শুকনাে থাকার আশংকা না থাকে। এরপর ভাল করে পা ধুয়ে নিবে। তারপর কোন 1 কাপড় বা গামছা-তােয়ালে দিয়ে সমস্ত শরীর ভাল করে মুছে ফেলবে।
গােসলের ফরজ তিনটিঃ ১ কুল্লি করা। কুলি করার সময় মনে রাখতে হবে যেন মুখের ভিতরের সমস্ত অংশে তথা কন্টদেশ পর্যন্ত পানি পৌছে। নাকে পানি দেয়া। নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছাবে যাতে ধােয়া হয়। ৩) সমস্ত শরীরে পানি দিয়ে ধােয়া।
আরো পড়ুন: পাক নাপাকের মাসায়েল
এতে শরীরের কোন একটি অংশও যাতে চুল পরিমাণ শুকানাে না থাকে। চুলের গােড়ায় এবং নখের ভিতরে যেন পানি পৌঁছে। গােসলের সুন্নাতঃ D গােসলের পূর্বে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ছওয়াবের নিয়্যত করা। & মিসওয়াক করা। © “বিসমিল্লাহ” পড়ে অজু শুরু করা।
দু’হাত কজা পর্যন্ত বােয়া। শরীরের কোন স্থানে নাপাক কিছু লেগে থাকলে তা প্রথমে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলা। সাধারণ ভাবে অজুর ন্যায় অজু করা, পা ধােয়া ব্যতীত। সারা শরীরে তিনবার পানি দেয়া। গােসলের মুস্তাহাবঃ ১ এমন জায়গায় গােসল করা যাতে মানুষের নজর না পড়ে,
দাড়িয়ে গােসল করলে কাপড় পরা অবস্থায় করা। প্রথমে ডান দিক থেকে পরে বাম দিক থেকে বােয়া’। পাক জায়গায় গােসল করা। প্রয়ােজনের চেয়ে পানি বেশী কম ব্যবহার না করা। ৬) কোন কারণে উলঙ্গ গােসল করতে হলে বসে গােসল করা।