ইসলাম

গীবত কাকে বলে | গীবত সম্পর্কে কোরআন ও হাদিস

Share this

গীবত বা পরনিন্দা

কোন ব্যক্তির অসাক্ষাতে তার দোষ আলোচনা করাকে গীবত বলে । গীবত অতি জঘন্য গোনাহ । তা হতে পরহেজ করা প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য । গীবত বা পরনিন্দা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে হাদীস শরীফে আছে-

একদা হযরত নবী করীম (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কি জান, গীবত কাকে বলে?” সাহাবীগণ আরজ করলেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল (সাঃ)-ই ভাল জানেন। তখন রাসূল (সাঃ) বললেনঃ

“যা তোমার ভাই অপছন্দ করে তা তার অসাক্ষাতে আলে- াচনা করলে গীবত হয়।” অতঃপর রাসূল (সাঃ)- কে জিজ্ঞেস করা হল, “দোষের কথা আমরা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তবু কি তা গীবত হবে?” রাসূল (সাঃ) বললেন,

“যে দোষ তোমার ভাইয়ের মধ্যে আছে তা যদি বল তবেই তা গীবত হবে, আর যদি তোমার ভাইয়ের মধ্যে ঐ দোষ না থাকে তবে তার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়া হল।”

২। অপর হাদীসে আছে, “আল-গীবাতু আশাদ্দু মিনাযযিনা।” অর্থাৎ গীবত যিনা অপেক্ষা কঠিনতর গোনাহ। সাহাবীগণ আরজ করলেন “ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ)!

গীবত যিনা হতেও অধিককতর কঠিন গোনাহ কিরূপে? তিনি উত্তর করলেন, কোন ব্যক্তি যিনা করে তওবা করলে আল্লাহ তা কবুল করে তাকে মাফ করে দিতে পারেন।

কিন্তু গীবতকারীর জন্য তওবার কোন বিধান নেই, যে পর্যন্ত না যার গীবত করা হয়েছে সে মাফ না করবে ।

৩। “তোমরা তোমাদের মুসলমান ভাইদেরকে কষ্ট দিও না ।

তাদেরকে তিরস্কার করো না, তাদের দোষ অনুসন্ধান করো না। কেননা, যে ব্যক্তি আপন মুসলমান ভাইদের দোষ খোঁজ করে আল্লাহ তার দোষ খোঁজ করেন এবং আল্লাহ যার দোষ খোঁজ করেন তাকে বেইজ্জত করেন।” (হাদীস)

৪। “কোন ঈমানদার গীবতকারী, লানতকারী, কটুভাষী ও বেআদব হতে পারে না । (হাদীস)

৫। “গীবত করা যেন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া।” গীবত বা পরনিন্দার অপকারিতা সম্বন্ধে কোরআন পাকে বলা হয়েছে, তোমরা একে অন্যের গীবত কর না।

তোমাদের মধ্যে কি এমন কেউ আছে যে তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ কর। নিশ্চয়ই তা তোমরা অপছন্দ করে থাক।”

আরো পড়ুন:- কুফরি কাকে বলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *