জামাতে নামাজ পড়ার গুরুত্ব
Share this
তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং যাকাত দাও এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর। অর্থাৎ যারা আমার সামনে অবনত হচ্ছে তাদের সাথে তোমরাও অবনত হও।
কিয়ামতের দিবসে যখন হাটু পর্যন্ত পা উম্মেোচিত কবে, সেই দিন সিজদা করার জন্য তাদেরকে আহবান করা হবে কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না,
তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে, হীনতা তাদেরকে সিজদা করার আহবান জানানো হয়েছিল।
ইহকালে যাদেরকে নামাজের জন্য আহবান জানানো হয়েছিল অথাৎ যারা হাইয়্যে আলাছ ছালাহ – হাইয়্যে আলাল ফালাহ গুনত কিন্ত সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থানে থেকেও নামাজের জামাতে সাড়া দিত না।
পরকালে তাদেরকে অনুশোচনার অপমান জ্বালা ভৌগ করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন-
আমার ইচ্ছা হয় এই নির্দেশ জারী করতে যে, এক ব্যক্তি ইমাম হয়ে নামাজ পড়া শুরু করুক, আর আমি লাকড়ি বহনকারী একদল সাথীসহ ঐসব লোকের ঘরবাড়ীতে গিয়ে আগুন লাগিয়ে দিই যারা নামাজের জামাতে উপস্থিত হয় না।
নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ ছাড়া অন্য কোন অপরাধে কারো ঘর-বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়ার মত হুশিয়ার বাণী উচ্চারিত হয়নি।
এতে উপলব্ধি করা যায় নামাজ জামাতে পড়া কতটুকু প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: নমাজে যে সকল কাজ করা মাকরূহ
মুসলিম শরীফের অপর একটি বর্ণনায় বলা হয়েছে।
জামাতে সালাত আদায় করার ফজিলত
জনৈক অন্ধ ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ স. এর দরবারে হাজির হয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল। আমার জন্য এমন কোন পথ চালক নেই যে আমাকে মসজিদে পৌছিয়ে দিতে পারে।
এ জন্য সে নবী করীম স. এর নিকট ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি চাইল । তিনি তাকে অনুমতি দিলেন।
সে চলে যেতে লাগলে তিনি তাকে ডেকে বললেন, তুমি কি নামাজের আজানের আওয়াজ শুনতে পাও। সে বলল হ্যা।
তিনি বললেন তাহলে তাতে সাড়া দাও অথাৎ তোমাকে মসজিদের জামাতে উপস্থিত হতে হবে।
আবু দাইদ হযরত আমর ইবনে উম্মে মাকতুম রা. হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূল্লুাহ স. এর খেদমতে হাজির হয়ে বললেন-
হে আল্লাহর রাসূল, মদীনায় ক্ষতিকর জীব জানোয়ার এবং বন্য পশুদের আধিক্য, আর আমি অন্ধ মানুষ, আমার বাড়ীও বেশ দূরে এবং আমার হাত ধরে আনারও লোক নেই।
আমি কি নিজের ঘরে নামাজ পড়তে পারি। উত্তরে তিনি বললেন জি হ্যা। রাসূল সা. বললেন তুমি সাড়া দিতে তোমার রুখসতের কোন্ উপায় আমার নিকট নেই।
এ একজন অন্ধ মুসলিমের ব্যাপার যার কষ্টের কথা রাসূল করীম স. কে সরাসারি বলার পরও রাসূল স. ঘরে নামাজ পড়ার রুখসত বা অনুমতি দেন নেই।
তাহলৈ দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ও সুস্থ সুসল্লি যার কোন ওযর অপারগতা নেই, জামাতে উপস্থিত না হয়ে কি করে বিরত বা নিজের ঘরে ফজর নামাজ পড়তে পারে।
আরো পড়ুন: নামাজের প্রতিদান ও ফজিলত