তায়াম্মুমের নিয়ম এবং সুন্নাত
Share this
আর তােমরা যদি পানি না পাও তাহলে পাক মাটি দিয়া কাজ (পবিত্রতা ) সম্পন্ন করতে পার। তাতে হাত মেরে নিজেদের মুখমন্ডল ও হাত দুটোর উপর মসেহ কর, আল্লাহ তােমাদেরকে সংকীর্ণতার
মধ্যে ফেলতে চান না বরং তিনি চান তােমাদেরকে পাক করে দিতে এবং তাঁর নেয়ামত তােমাদের প্রতি পরিপূর্ণ করে দিতে যাতে তােমরা শােকর আদায়কারী হও। (আল মায়েদা-৬)
তায়াম্মুমের ফরজ তিনটি
- আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পাক-পবিত্র হওয়ার জন্যে মনে মনে নিয়্যত করা।
- মাটির উপর দু’হাত মেরে সমস্ত মুখমন্ডল মসেহ্ করা
- দু’হাত মাটির উপর মেরে দু’হাতের কনুই পর্যন্ত মসেহ্ করা।
আরো পড়ুন: নামাজ পড়ার নিয়ম
নিম্নে উল্লেখিত কাজগুলাে তায়াম্মুমের সুন্নাত
- “বিসমিল্লাহ” বলে তায়াম্মুম করা।
- সুন্নাত নিয়মানুপাতে তায়াম্মুম করা।
- মাটির উপর হাত মারার সময় হাতের ভেতর দিক মারা।
- হাত মাটিতে মারার পর মাটি জেড়ে ফেলা।
- মাটির উপর হাত মারার সময় আঙ্গুলগুলাে প্রসারিত রাখা যাতে আঙ্গুলের ফাঁকের ভেতরে ধূলা পৌঁছে যায়।
- অন্তত পক্ষে তিন আঙ্গুল দিয়ে মুখমন্ডল ও হাত মসেহ করা।
- প্রথমে ডান হাত ও পরে বাম হাত মসেহ্ করা।
- মুখমন্ডল মসেহ করার পর দাড়ি খেলাল করা।
আরো পড়ুন: নামাজের প্রতিদান ও ফজিলত
সুন্নাত অনুযায়ী তায়াম্মুমের নিয়ম
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে পাক হওয়ার নিয়্যত করে “বিসৃমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” বলে দু’হাতের তালু একটু প্রসারিত করে পাক মাটির উপর ধীরে মারবে। বেশী ধূলাবালি হাতে লেগে গেলে ঝেড়ে নিয়ে অথবা মুখ দিয়ে ফুকে দিয়ে তা ফেলে দেবে। তারপর দু’হাত সমস্ত মুখমন্ডলের উপর এভাবে মসেহ করবে যাতে মুখমন্ডলের কোন জায়গা বাদ না পড়ে।
এরপর দাঁড়ি খেলাল করবে তারপর দ্বিতীয় বার ঐ ভাবে মাটিতে হাত মেরে এবং হাত ঝেড়ে নিয়ে প্রথমে বাম হাতের চার আঙ্গুলের মাথার নিম্নভাগ দিয়ে ডান হাতের আঙ্গুলের উপর থেকে কনুই পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
তারপর বাম হাতের কনুইয়ের উপরের অংশের উপর মসেহ করে বাম হাতের পিঠের উপরি ভাগ দিয়ে ডান হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত নিয়ে আসবে এবং আঙ্গুলগুলাে খেলাল করবে।
এভাবে ডান হাত দিয়ে বাম হাত মসেহ করবে। হাতে কোন আংটি বা ঘড়ি থাকলে তা সরিয়ে তার নীচেও মসেহ করা প্রয়ােজন।