নামাজ

ইস্তেখারার নামাজের নিয়ত নিয়ম ও দোয়া

Share this

ইস্তেখারার নামাজ

যখন কোনো কাজ করার জন্য ইচ্ছা করবে, তখন আগে আল্লাহ্ তা’য়ালার দরবারে এর খায়ের-বরকতের জন্য দোয়া করে নিবে, তারপর কাজে হাত দিবে। এই মঙ্গল প্রার্থনাকেই আরবিতে ইস্তেখারা’ বলে। হাদীস শরীফে সব কাজের পূর্বে ইস্তেখারা করে নেয়ার প্রতি বিশেষ উৎসাহ দেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘আল্লাহ্ তা’য়ালার নিকট খায়ের ও বরকতের জন্য দোয়া না করা মন্দ আলামত ।

(অবশ্য ফরজ ওয়াজিব এবং নাজায়েয কাজের জন্য ইস্তেখারা নেই) বিবাহ শাদি, বিদেশে যাত্রা, বাড়ি নির্মাণ ইত্যাদি যাবতীয় মোবাহ কাজের আগে ইস্তেখারা করে তারপর করবে, তা হলে ইন্‌শাআল্লাহ ফল ভাল হবে । পরে অনুতাপ করতে হবে না ।

আরো পড়ুন:- মুনাজাতে মাকবুল বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ

সুন্নত তরিকায় ইস্তেখারা করার নিয়ম

ইশার নামাযের পর নতুন ওযু করে প্রথমে দুই রাকাত নামাজ খুব ভক্তির সাথে পড়বে, তারপর এই দোয়াটি খুব মনোযোগের সাথে, অর্থের দিকে খেয়াল রেখে এবং খোদাকে হাযির নাযির জেনে অন্তত তিনবার পড়বে-

অর্থঃ ‘হে আল্লাহ্ । তুমি জান, আমি কিছুই জানি না, তুমি ক্ষমতাবান, আমি অক্ষম অর্থাৎ, ভবিষ্যতের এবং পরিণামের খবর অন্য কেউই জানে না, একমাত্র তুমিই জান; এবং তুমি সর্বশক্তিমান। তুমি মন্দকেও ভাল করে দিতে পার; কাজের শক্তিও তুমিই দান কাজের শক্তি প্রার্থনা করছি।

হে আল্লাহ! যদি এই কাজটি আমার জন্য, আমার দ্বীনের চেষ্টাকেও ফলবতী তুমিই কর, কাজেই আমি তোমার নিকট মঙ্গল চাচ্ছি এবং কর, আমার দুনিয়ার জন্য এবং আমার পরিণাম ও পরিণতির জন্য তুমি ভাল মনে কর, তবে এই কাজটি আমার জন্য তুমি নির্ধারিত করে দাও এবং তা আমার জন্য সহজলভ্য করে দাও এবং তাতে আমার জন্য কল্যাণ বরকত দান কর ।

পক্ষান্তরে যদি এই কাজটি আমার পক্ষে, আমার দ্বীনের বা দুনিয়ার পক্ষে বা পরিণামের ক্ষেত্রে আমার জন্য মন্দ হয়, তবে এই কাজকে আমা হতে দূরে রাখ, আর যেখানে মঙ্গল আছে তা আমার জন্য নির্ধারিত করে দাও এবং তাতেই যেন আমি সন্তুষ্ট থাকি ।

হাযাল আম্রা) বাক্যটি মুখে উচ্চারণ করবে, তখন যে কাজ করার ধারণা করেছ মনে মনে তা স্মরণ করবে। তারপর পাক বিছানায় অবস্থায় পশ্চিম দিকে মুখ করে শয়ন করবে । ভোরে উঠে মন যেদিকে ঝুঁকে বলে মনে হয় তা করবে, তাতেই ইন্‌শাআল্লাহ্ ভাল ফল হবে । অনেকে মনে করে, ‘ইস্তেখারা’ দ্বারা গায়েবের রহস্য জানা যায় বা স্বপ্নে কেউ বলে দেয়, এটা জরুরি নয়। কিন্তু স্বপ্নে কিছু জানতেও পারে, নাও জানতে পারে ।

যদি এক দিনে মন ঠিক না হয়, তবে একাধারে সাত দিন ইস্তেখারা করবে । তা হলে ইন্শাআল্লাহ্ ভালমন্দ বুঝা যাবে। আল্লাহ্র কাছে মঙ্গলের জন্য দোয়া করাই ইস্তেখারার আসল উদ্দেশ্য। সুতরাং মন কোনো দিকে না ঝুকলেও ইস্তেখারা করে কাজ করলে আল্লাহ্র রহমতে মঙ্গল হবে।

হজ্জে যাওয়ার জন্য এই ভেবে ইস্তেখারা করবে না যে, যাবে কি না যাবে। অবশ্য কোনো নির্দিষ্ট তারিখে বা নির্দিষ্ট জাহাজে যাবে কি না তজ্জন্য ইস্তেখারা করবে। যদি কোনো কারণে ইস্তেখারার নামাজ পড়তে না পারে, তবে অন্তত দোয়াটি কয়েকবার পড়ে নিবে, তবুও ইস্তেখারা ছাড়বে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *