নামাজ

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত

Share this

রমজানে এক মাস রোযা রাখার পর শাওয়ালের চাঁদের প্রথম তারিখে দুই রাকআত ওয়াজিব নামায জামাআতে পড়া হয়, এটাই ঈদুল ফিতরের নামাজ ।

এই নামায স্থানীয় সকল বয়স্ক সুস্থ পুরুষগণ একত্রিত হয়ে আদায় করবে। ঈদের নামাযের জন্য নির্দিষ্ট ময়দান থাকা বাঞ্ছনীয় । নির্দিষ্ট জায়গা না থাকলে বড় মাঠে এ নামায আদায় করবে। অগত্যা মসজিদে পড়া যায় ৷

বিশেষ কারণে ১লা শাওয়াল তারিখে পড়াও জায়েয আছে। জামাআত ব্যতীত ঈদের নামায পড়া দুরস্ত হয় না জামাআত না পেলে একাকী ঈদের নামায পড়া বা কাজা পড়া আবশ্যক নয় ।

সূর্য উদয়ের পর হতে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত এই নামাযের ওয়াক্ত। ঈদের নামাযের খুৎবা নামায আদায়ের পরে পড়বে।

এই নামাযে স্বাভাবিক তাকবীর ছাড়া প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহা পড়ার পূর্বে তিনটি ও দ্বিতীয় রাকআতের ক্বেরাআতের পর রুকুতে যাওয়ার পূর্বে তিনটি মোট ছয়টি অতিরিক্ত তাকবীর বলতে হয়

ঈদুল ফিতর নামাযের নিয়ত

উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকআতাই ছালাতি ঈদিল ফিত্বরি মাআ সিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার ।

অর্থ : ছয় তাকবীরের সাথে ঈদুল ফিতরের ওয়াজিব নামায কেবলামুখী হয়ে আদায় করতেছি। মোক্তাদীগণ ওয়াজিবিল্লাহি তা’আলা বলে ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম বলবে।

আরো জানুন:- ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে

ঈদুল ফিতরের নামায আদায়ের নিয়ম

প্রথমে ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়্যত করে তাকবীর বলে হাত বাঁধবে। তারপর সুবহানাকা পাঠ করে ইমাম উচ্ছস্বরে তিন বার তকবীর বলবে এবং প্রত্যেকবার তকবীর বলার সাথে সাথে কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলবে।

প্রত্যেকবারই হাত ঝুলিয়ে দিবে মোক্তাদিগণও সাথে সাথে হাত উঠাবে এবং চুপে চুপে তাকবীর বলবে। অতপর ইমাম তাআওয় ও তাসমিয়া পড়ে উচ্চ শব্দে সূরা ফাতিহা ও তৎসহ কোন সূরা পাঠ করবে।

মোক্তাদীগণ কেবল শ্রবণ করবে। অতঃপর রুকু-সেজদা করে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকআতের জন্য ফাতিহা ও ক্বেরাআত পাঠ শেষ করে তকবীর বলার সাথে সাথে হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠাবে এবং এভাবে তিন বার তাকবীর বলবে।

প্রথমবারের ন্যায় প্রত্যেকবার হাত ঝুলিয়ে দিবে। চতুর্থ বার তাকবীর বলে রুকুতে যাবে এবং যথারীতি রুকু-সেজদা করে নামায শেষ করবে। অতঃপর ইমাম দাঁড়িয়ে দুটি খুৎবা পাঠ করবেন। খুৎবা শেষ হলে মুনাজাত করবেন।

খুৎবায় ঈদের কর্তব্য ও ফযীলত বর্ণিত আছে, তা নামাযের পূর্বে মোক্তাদীগণকে বুঝিয়ে দেয়া উত্তম।

ঈদের দিনের কর্তব্য

ঈদের দিন সকালে গোসল করে যথাসাধ্য উত্তম পোশাক পরিধান করা, খোশবু লাগান এবং মিষ্টন্ন আহার করা মোস্তাহাব। অতপর তাকবীর বলতে বলতে ঈদের মাঠে যাবে।

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *