দোয়া

জ্বীন তাড়ানোর দোয়া

Share this

দুষ্ট জ্বীনের প্রভাব দূর করার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন

কোনো ব্যক্তির ওপর জ্বিন প্রভাব বিস্তার করলে তাকে সামনে বসিয়ে পবিত্র কোরআনের নিম্নলিখিত আয়াত ও সূরাসমূহ তিলাওয়াত করে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ জ্বিনের প্রভাব দূর হয়ে যাবে ।

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ، مُلِكِ يَوْمِ الدِّينِ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ اِهْدِنَا الصِّرَاط ۵ المُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلا

الضَّالِينَة

উচ্চারণ : আল্ হাম্‌দু লিল্লা-হি রব্বিল্‘আ-লামিন। আরামা-নির রাহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যা-কানা’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈ’ন। ইহুদিনাহ্ গাইরিল মাগদূবি ‘আলাইহিম্ । ওয়া লাদ্দোয়াল্লীন্ । আ-মীন

ছিরা-ত্বোয়াল্ মুস্তাকীম। ছিরা ত্বোয়াল লাযীনা আন্ ‘আমৃতা ‘আলাইহিম্।

অর্থ : সমস্ত প্রশংসা বিশ্বরব আল্লাহ্ তায়ালারই জন্য। যিনি পরম করুণাময় ও দয়ালু।।যান শেষ বিচারের দিনের মালিক। আমরা একমাত্র তোমারই দাসত্ব করি এবং তোমারই সাহায্য কামনা করি। আমাদেরকে সর্বদা সরল সঠিক পথে পরিচালিত কর। তাদের পথে, যাদেরকে তুমি পুরস্কৃত করেছ। তাদের পথে নয়, যারা অভিশপ্ত ও পথ ভ্রষ্ট।

আরো পড়ুন:- মনের আশা পূরণের দোয়া ও আমল

জ্বিন সংক্রান্ত তদবির

পবিত্র কুরআনে এবং হাদীস শরীফে জ্বিন জাতির অস্তিত্বের কথা স্পষ্ট ভাষায় ও সবিস্তার আলোচিত হয়েছে। কাজেই জ্বিন জাতিকে কোনো মুসলমানই অবিশ্বাস বা অস্বীকার করতে পারে না।

মানুষের মধ্যে যেমন ভাল-মন্দ আছে, জ্বিনের মধ্যেও তদ্রূপ আছে, জ্বিন যেহেতু আগুনের তৈরি এবং দৃশ্যমান নয়-অশরীরি, তাই মন্দ জ্বিন এই সুযোগে মানুষের অনেক ক্ষতি সাধন করতে পারে ।

পক্ষান্তরে অনেক মানুষ আবার মানুষের নানারূপ রোগ-ব্যাধি দেখেই তাকে জ্বিনের আছর বা জ্বিনের ক্ষতি বলে ধরে নেয়। যেমন- মৃগী, সন্ন্যাস বা নব প্রসূতীর নানারূপ দুর্লক্ষণ এবং

মস্তিস্ক বিকৃতি দেখেই তাকে জিনের আছর বলা হয় এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা না করে জ্বিন তাড়ানোর তদবির করা হয়, তাতে রোগও আরোগ্য হয় না, কোনো ফলও পাওয়া যায় না।

স্মরণ রাখবে, জ্বিন মানুষের শরীরের মধ্যে ঢুকে পড়লে রোগী অচৈতন্য হয়ে পড়ে । ঢুকবার আগে অনেকের বুকে ব্যাথা শুরু হয়। দাঁতে খিল লাগে, চোখ বন্ধ হয়ে যায় ।

এই সব লক্ষণ দেখা গেলে রোগীর শরীরে আঘাত লাগতে পারে এরূপ জবরদস্তি করতে নেই। জ্বিন সরে গেলে রোগীর শরীরে আঘাত লাগতে পারে এরূপ জবরদস্তি করতে নেই।

জ্বিন সরে গেলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে জ্বিনের তদবির অত্যন্ত অবিজ্ঞ আলেম এবং আমল দ্বারা করানো উচিত, কেননা ব্যাপারটি সহজ নয় । অনেক ধোকাবাজ ফকির ও কবিরাজ এই রোগের চিকিৎসক সেজে সরলপ্রাণ লোকদেরকে ধোকা দেয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *