নামাজ

তাওবার নামাজ পড়ার নিয়ম

Share this

তওবার নামাজ

নফসের তাড়নায় শয়তানের প্রতারণায় কোন অন্যায় কাজ করতঃ লজ্জিত হয়ে তা মাফীর জন্যে দু রাকাআত নামায পড়ে তওবা করত মোনাজাত করতে হয়। ফলে আল্লাহ্র রহমতে অবশ্যই গুনাহ্ মাফ হয়ে যায় ।

এই নামাযের নিয়্যতও অন্যান্য দুই রাকআত সুন্নত নামাযের মত নামের স্থলে কেবল ‘ছালাতিত তওবা’ বলতে হয় মাত্র।

সূর্য গ্রহণের নামাজ

সূর্যগ্রহণের সময় দুই রাকআত নামায পড়া সুন্নাত। সূর্যগ্রহণকে যেহেতু কুছুফ বলা হয়, তাই এই নামাযকে কুছুফের নামায বলে । এ নামায জামাআতের সাথে আদায় করা বিধেয়।

অবশ্য জামাআত করে পড়তে অসুবিধা থাকলে একা পরা যায়। স্ত্রী লোকেরা ও ঘরে বসে পড়তে পারে। এই নামাযে সূরা ক্বেরাআত নিশব্দে পড়তে হয়। এর রুকু সেজদাহ দীর্ঘ করা বিধেয়।

নামাযান্তে সূর্য গ্রহণ না ছাড়া পর্যন্ত বসে দোয়া-দরূদ ও তাসবীহ-তাহলীল পড়তে হয় ।

চন্দ্রগ্রহণের নামাজ

চন্দ্রগ্রহণে সময় দুই রাকআত নামায পড়া সুন্নত। চন্দ্রগ্রহণকে যেহেতু খুছুক ব হয়, তাই এই নামাযকে খুছুফের নামায বলে। এই নামায জামাআতের সাথে পর

বিধেয়; বরং একা একা আদায় করবে। স্ত্রীলোকেরা ও এ নামায পড়তে পারে। নাম যাস্তে যে পর্যন্ত গ্রহণ না ছাড়ে, দোয়া-দুরূদ তাসবীহ তাহলীল পড়তে থাকবে। এ নাহ, াযের নিয়্যত অবিকল কুছুফের নামাযের মতই। নামাযের নামের স্থলে ছালাতিল বলবে মাত্র।

এস্তিস্কার নামাজ

অনাবৃষ্টির কারণে বিপদের সম্মুখীন হয়ে এলাকাবাসীগণ সমবেত হয়ে ময়দানে গিয়ে বৃষ্টি কামনা করে জামাআতের সাথে দুইরাকআত নামায আদায় করতে হয়, এটা সুন্নত এই নামাযকে এস্তিস্কার নামায বলা হয় ।

এই নামায আদায়ের নিয়ম সম্পর্কে অধিকাংশ আলেমের মত হল, দেশের প্রতিটি মুসলিম বালক, বৃদ্ধ, যুবক পুরুষ ময়দানে সমবেত হয়ে প্রথমে তওবা-ইস্তেগফার করত।

গুনাহ মাফীর জন্য আল্লাহর নিকট কান্না কাটি করতে হয়। তারপর এই নামায আর করতে হয়। এ নামায জামাআতের সাথে সশব্দে সূরা-কেরাত পড়ে আদায় করতে হয় নামায শেষে ইমাম সাহেব ঈদের খুৎবার ন্যায় দুটি খুৎবা পাঠ করবে।

মিম্বরের উপর না দাঁড়িয়ে লাঠি ভর দিয়ে ভূমিতে দাঁড়িয়ে এই খুৎবাহ পাঠ করতে হয়। অতঃপর ইমাম সাহেব দাঁড়িয়ে মোক্তাদীরা বসে মাথা পর্যন্ত দুই হাত উত্তোলন করতঃ আল্লাহর নিকট বৃষ্টি প্রর্থনা করতে হয় ।

এক বা দুই দিন এইরূপ করলে ও যদি বৃষ্টি না হয়, তবে তিন দিন পর্যন্ত করতে হয় । তাহলে আল্লাহর মেহেরবাণীতে অবশ্যই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।

কোন কোন আলেম বলেন, এস্তিস্কার নামায একাকীও পড়া যায়। এই নামাযের এস্তিস্কা’ বলতে হয় । নিয়্যতও অন্যান্য দুই রাকআত সুন্নত নামাযের ন্যায় । নামের স্থলে কেবলমাত্র ছালাতিল

এস্তেখারার নামাজ

কোন কাজ বা উদ্দেশ্য ভাল হবে কি মন্দ হবে, তার ইঙ্গিত লাভ করার জন্য রাত্রে নিদ্রা যাবার পূর্বে দুই রাকআত নামায পড়ার নাম এস্তেখারার নামায। এ নামায যে- কোন সূরা দ্বারা পড়া চলে ।

 নামাযান্তে সূরা ফাতিহা ও কয়েকবার দরূদ শরীফ পাঠ করে মোনাজাত করতে হয়। তারপর দোয়া-দুরূদ ও তাওবাহ এস্তেগফার পড়ে ডান দিকে কেবলামুখী হয়ে শুয়ে পড়তে হয়।

আল্লাহর  মেহেরবণীতে স্বপ্নযোগে আল্লাহর তরফ হতে অবশ্যই কোন ইঙ্গিত লাভ করা যায় ।

আরো পড়ুন:- নামায পড়ার নিয়ম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *