নামাজ

তাহিয়্যাতুল ওযুর নামাজের নিয়ত নিয়ম ও ফজিলত

Share this

তাহিয়্যাতুল অযু

যখন ওযু করবে তখনই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নাম ‘তাহিয়্যাতুল ওযু’। এই নামাজ স্ত্রী-পুরুষ সকলেই পড়বে। হাদীস শরীফে এই নামাজের খুব ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। অবশ্য মাকরুহ ওয়াক্তে এবং স্ত্রীলোকের ওযরের সময় পড়তে নেই । অন্য সব সময় পড়া যায়, কোনো খাস নিয়্যতও নেই ।

দুখুলিল মসজিদ : মসজিদে প্রবেশকালে আন্তরিক ভক্তি ও ভয়ের সাথে প্রবেশ করবে এবং প্রবেশ করা মাত্র বসার পূর্বেই দুই রাকাত নামাজ পড়বে । এই নামাজকে দুখুলিল মসজিদ বলে । অর্থাৎ আকামুল হাকেমীনের দরবারের তাযিম । হাদীস শরীফে এই নামাজ পড়ার জন্য তাকিদ আছে, কাজেই এই নামাজ সুন্নত।

যদি কেউ মাকরূহ ওয়াক্তে মসজিদে প্রবেশ করে, তবে কোন নামাজ পড়বে না; আদবের সাথে বসে এই তসবিহটি চারবার পড়বে এবং দুরুদ শরীফ পড়বে।

আল্লাহর ওয়াস্তে দুই রাকাত নামাজ পড়তেছি বা ‘আল্লাহর ওয়াস্তে দুই রাকাত

নিয়্যত হয়ে যাবে । মুখে উচ্চারণ করে বলার চেয়ে দেলের খেয়াল বেশি জরুরি।

তাহিয়্যাতুল মসজিদ যে দুই রাকাতই হবে তার কোনো সীমা নির্ধারিত নেই, চার বা ততোধিকও হতে পারে, তবে দুয়ের চেয়ে কম হতে পারবে না। এমন কি, মসজিদে আসা মাত্রই যদি ফরজ বা সুন্নত পড়তে হয়, তাতেও তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় হয়ে যাবে। অবশ্য এর জন্য নিয়্যত করতে হবে ।

মাসয়ালা : মসজিদে এসে যদি কেউ বসে পড়ে এবং তারপর উঠে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ে তবে তাতে দোষ নেই, তবে বসার পূর্বে পড়ে নেয়াই উত্তম । হাদীসে আছে— যখন তোমরা মসজিদে যাও, তখন দুই রাকাত নামাজ না পড়া পর্যন্ত বসিও না । মসজিদ পড়লেই চলবে ।

আরো পড়ুন:- আওয়াবিন নামাজের নিয়ত নিয়ম এবং ফজিলত

One thought on “তাহিয়্যাতুল ওযুর নামাজের নিয়ত নিয়ম ও ফজিলত