নামাজ

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত | তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

Share this

আজকে আমরা জানবো তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত এবং কীভাবে পড়তে হয়।

তাহাজ্জুদ নামাজ (tahajjud namaz)

তাহাজ্জুদ আরবি শব্দ। এর অর্থ রাত জাগা, ঘুম থেকে ওঠা। মধ্যরাতের পর ঘুম থেকে উঠে যে সালাত আদায় করতে হয়, তাকে হাজাজ্জুদের সালাত বলে।

তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা সুন্নত। এর গুরুত্ব অপরিসীম। নবি (স.) প্রতিনিয়ত এ সালাত আদায় করতেন এবং সাহাবিগণকেও আদায়ের জন্য উৎসাহিত করতেন। মহানবি (স.) এর উপর তাহাজ্জুদ সালাত আদায়ের জন্য বিশেষ তাগিদ ছিল। মহান

তাহাজ্জদ নামাজ

তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব

গভীর রাতে আরামের ঘুম ত্যাগ করে বান্দা যখন আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত পাওয়ার আশায় তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে, তখন আল্লাহ খুবই খুশি হন।

তাহাজ্জুদ সালাতের মাধ্যমে বান্দার আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধিত হয়। এ সালাত আদায়ে পুণ্যময় জীবনের পথ প্রশস্ত হয়। আল্লাহ তায়ালা এ সালাত আদায়কারীর গুণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,

‘তারা শয্যা ত্যাগ করে, তাদেঁর প্রতিপালককে আশায় ও ভয়ে ভয়ে ডাকে এবং তাদেঁরকে যে রিজিক দান করেছি তা হতে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাঁদের জন্যে নয়নাভিরাম কী লুক্কয়িত রাখা হয়েছে,

তাদেঁর কৃতকার্যের পুরস্কারস্বরূপ।’ (সূরা আস্ সাজদাহ: ১৬, ১৭) । তাহাজ্জুদ সালাতের গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবি (স.) বলেন, ‘ফরজ সালাতের পর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট হলো তাহাজ্জুদের সালাত।‌‌‍‍‍’ (মুসলিম)

তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কখন শুরু হয়

অর্ধ রাতের পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ভালো। তবে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম।

তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত

হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন। তাই ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়াই ভালো। আপনি চাইলে ১২ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে ৮ রাকাআত আদায় করা উত্তম।

সম্ভব না হলে ৪ রাকাআত আদায় করা। যদি তাও না পারেন তাহলে ২ রাকাআত হলেও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ – اَللهُ اَكْبَر ##

বাংলা অর্থ:- দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি. অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ শুরু করা।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দুই রাকাত করে মোট আট রাকাত এ নামাজ আদায় করতেন। সূরা ফাতিহার সাথে যে কোনো সুরা দিয়েই এ নামাজ পড়া যায়।

তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লম্বা কেরাতে এ নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাত দিয়ে তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম।

তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধা। তারপর ছানা পড়া। সুরা ফাতেহা পড়া। সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সূরা মিলানো।

তারপর অন্যান্য নামাজের মত রুকু, সেজদা আদায় করা। এভাবেই দ্বিতীয় রাকাআতও আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পড়ে সালাম ফেরানো। এভাবে দুই রাকাআত করে মোট ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া উত্তম।

তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে কয়েকবার দরুদ পাঠ করা ভালো। এরপর বিতরের সালাত আদায় করা উত্তম।

মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার তওফিক দান করুন।

2 thoughts on “তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত | তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম