ন্যায়বিচার ও ক্ষমার প্রতিদান ইসলামের দৃষ্টিতে
Share this
১। “যদি কেউ কারো মান-ইজ্জত বিপন্ন হওয়ার সময় সাহায্য করে তবে তার বিপদের সময় আল্লাহ তাকে সাহায্য করবেন।” (আবু দাউদ)
২। “ইনসাফপ্রিয় ন্যায়বিচারক বাদশার দোয়া ব্যর্থ হয় না।” (তিরমিযী)
৩। “ইনসাফপ্রিয় শাসকের নিদ্রা তার ৭০ বৎসরের ইবাদত অপেক্ষা উত্তম।” (তিরমিযী)
৪। একদা কোন এক খান্দানী ঘরের মহিলার চুরির অপরাধ প্রমাণিত হলে হাত কাটার হুকুম দেয়া হয়। তখন কিছু লোক তার পক্ষে সুপারিশ করলে নবী করীম (সাঃ) ভীষণ রাগান্বিত হয়ে বললেন :
“আল্লাহর দেয়া দণ্ডের ব্যপারে তোমরা সুপারিশ করতেছ! আল্লাহর কসম! যদি আমার কন্যা ফাতেমাও চুরি করত, তবে আমি তারও হাত কেটে ফেলতাম।” (বোখারী)
পরিবার-পরিজনের প্রতি অধিক সদয়।” (তিরমিযী)
(৫) “সবচাইতে কামেল ঈমানদার তারাই যারা সচ্চরিত্রের অধিকারী এবং যারা
(৬) “এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল : আমার চাকরকে কতবার ক্ষমা করব “রাসূলুল্লা (সাঃ) বললেন, প্রত্যহ সত্তর বার।” (আবু দাউদ)
[এই কাজের প্রতিদানে আল্লাহ পাক তাকে জান্নাত দান করবেন]
(৭) কেহ যদি খুনীকে মাফ করে, কিংবা তা হতে ছোট অপরাধ ক্ষমা করে দেয়, তবে তা তার যাবতীয় গোনাহর কাফফারা হয়ে যাবে। (আবু ইয়ালা)
সুন্দর কথা ও ব্যবহারে সদকা হয়
(১) “কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে কথা বলাও সদকা
(২) আবু যার (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : “যেখানেই থাকো আল্লাহকে ভয় কর, একটি গোনাহ হয়ে পড়লে তওবা করে একটি নেকী করবে, তাতে গোনাহ মিটে যায় এবং মানুষের সাথে মধুর ব্যবহার করবে। (তিরমিযী)
(৩) “সকল গুনাহ হতে বেঁচে থাকার উত্তম উপায় হল জিহ্বাকে সংযত রাখা।” (তিরমিযী)
(৪) একদা এক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করছিল। সকলে তাকে গালমন্দ করছিলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “তাকে মন্দ বলো না । পানি ঢেলে দিয়ে মসজিদ পবিত্র কর।
তোমাদেরকে সহনশীলতা এবং দয়া দেখানোর জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষের প্রতি কঠোর হওয়ার কিংবা নাজেহাল করার জন্য সৃষ্টি করা হয়নি।”
(৫) “তুমি চুপ করে থাকার অভ্যাস কর । চুপ করে থাকলে শয়তান নিরুপায় হয়ে যায় এবং ধর্মের কাছে প্রেরণা পাওয়া যায় ।”(ইবনে হিব্বান) (তিরমিযী)
(৬) “ইসলামের সৌন্দর্য হলো মানুষ নিস্প্রয়োজনীয় কাজ পরিত্যাগ করবে।”
(৭) “লজ্জা হলো ঈমান, আর ঈমানের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয় ।
(৮) “যে ব্যক্তি বিনয়ভাব অবলম্বন করে আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। হাব্বান) অবশেষে তাকে আল ইল্লিয়্যীন অর্থাৎ, সবচেয়ে সম্মানের জায়গায় পৌঁছে দেন।”
(৯) “সত্য অবলম্বন কর। সত্য বললে হেদায়াত পাওয়া যায় এবং সৎপথ জান্নাতে নিয়ে যায়। যে সদা সত্য কথা বলে, আল্লাহ্র দরবারে তাকে ‘সিদ্দীক’ বলে অভিহিত করা হয়।” (বুখারী)
সবর দানের তুল্য
চেয়ে উত্তম কোন দান নেই।” (বোখারী ও মুসলিম) (১) “যে ব্যক্তি সবর করে আল্লাহ্ তাকে সবর করার ক্ষমতা দান করেন। সবরের
(২) “যখন কোন মুমিন রোগে আক্রান্ত হয় তখন তাকে গোনাহ হতে এমনভাবে পবিত্র করা হয়, যেমন কোন কর্মকার আগুনে তাপ দিয়ে লোহার মরিচা পরিস্কার করে।” (তিবরানী)
মুসলিম নর-নারী দুনিয়ায় নানারূপ বিপদে পতিত হতে থাকে। তাদের জীবন, সন্তান-সন্ততি, সম্পদ ইত্যাদির ক্ষতি সাধিত হয়,
তবে যখন তারা আল্লাহর নিকট উপস্থিত হয় তখন তাদের একটি গোনাহও অবশিষ্ট থাকে না । (তিরমিযী)
(৩) মহানবী (সাঃ) একদিন মিম্বারে দাঁড়িয়ে বললেন, “লোক সকল! আল্লাহর নিকট ক্ষমা ও কল্যাণ ভিক্ষা করবে। কেননা ঈমান ও একীনের পরে তা হতে উত্তম আর কিছুই নেই।
এ কথাগুলো বলার সময় নবী করীম (সাঃ) এর চোখ হতে অবিরাম ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছিল।” (তিরমিযী)
নবী করীম (সাঃ) “এ দোয়ার চেয়ে উত্তম কোন দোয়া নেই :
ح أَسْتَلْكَ الْمُعَافَاةَ فِى الدُّنْيَا وَالآخِرَةَ . اللهم انى
بد وتت
অর্থ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে নিরাপত্তা প্রার্থনা করি । (ইবনে মাজাহ)
(৪) “যে ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের উপর আরোপিত অপবাদ দূর করে এবং তার অসাক্ষাতে তার নির্দোষ হওয়ার পক্ষে সাক্ষ্য দেয় আল্লাহ পরকালে তার মুখ জাহান্নাম হতে রক্ষা করবেন।” (তিরমিযী)
(৫) “মুসলমানদের ছোট শিশু (মৃত্যু অন্তে) জান্নাতী হয়। কেয়ামতের দিন তারা পিতা-মাতার আঁচল ধরে টানতে থাকবে; যতক্ষণ আল্লাহ তাদের পিতা-মাতাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে না দেবে ততক্ষণ তারা আঁচল ছাড়বে না। (মুসলিম)
“যদি কোন স্ত্রীলোকের অপূর্ণাঙ্গ সন্তান ও পেট হতে পড়ে যায় এবং যদি সে ছওয়াবের নিয়্যতে ধৈর্য ধারণ করে, তবে অপূর্ণাঙ্গ শিশুটিও আঁতুড়ি দ্বারা জড়িয়ে তার মাতা-পিতাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।”
(৬) “কোন স্ত্রীলোকের সন্তান মারা গেলে তাকে যে ব্যক্তি সান্ত্বনা দান করে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে এবং জান্নাতের চাদর পরানো হবে।” (তিরমিযী) বীজ
(৭) “উপকারীর উপকারের প্রতিদান দিও। যদি কিছু করার সামর্থ নাও থাকে তা হলে তার প্রশংসা করো। যে ব্যক্তি উপকারীর উপকার গোপন রাখে সে নেয়ামতের প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ।” (তিরমিযী)
(৮) তোমাদের কেউ মন্দ বা ভয়াবহ স্বপ্ন দেখলে বাম দিকে ৩ বার থুথু ফেলবে এবং তিন বার বলবে ঃ “আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীশ।”
আরো পড়ুন:- নামাজে যে সব কাজ মাকরূহ