ইসলাম

পাক পবিত্রতার গুরুত্ব

Share this

পবিত্রতার বিবরণ

পাক-পবিত্রতা আল্লাহ তা’আলার নিকট অত্যন্ত পছন্দনীয় স্বভাব। এই প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে-

وَاللهُ يُحِبُّ الْمُتَطَهِرينَ .

অর্থ : আল্লাহ তা’আলা অধিক পাক-পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে ভালবাসেন । বোখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, bl অর্থঃ পবিত্রতা ঈমানের অংশ ।

যাবতীয় নাপাকী হতে শরীর, কাপড়-চোপড় ইত্যাদি পাক করার জন্য পানিই একমাত্র সম্বল । ঐ পানি অবশ্যই পাক হতে হবে। নাপাক পানি দ্বারা কোন জিনিস ধৌত করলে তা পাকতো হলই না; বরং নাপাক পানি মিশ্রিত হয়ে নাপাকীর মাত্রা আরও বেড়ে গেল।

কাজেই কোন পানি পাক আর কোন পানি নাপাক-তা ভালভাবে জানা দরকার। নদ-নদী, খাল-বিল বা ভূ-উপরিস্থ কোন স্থানে জমা বৃষ্টির পানি পাক । ছোট পুকুরও কুয়ার পানিতে কোন প্রকার নাপাক জিনিস পড়ে পানির রং, স্বাদ, গন্ধ নষ্ট করে ফেললে ঐ পানি নাপাক হয়ে যাবে।

বড় গর্ত বা হাউজের পানি পাক। কিন্তু হাউজটির ক্ষেত্রফল অন্ততঃ একশত বর্গহাত অর্থাৎ দশ হাত দৈর্ঘ্য ও দশ হাত প্রস্থ হতে হবে। আর তার গভীরতা কমপক্ষে এই পরিমান হবে, যাতে দুই হাত ভরে পানি উঠালে নীচের কাদা উঠে পানি ঘোলা না হয়ে যায়।

স্রোতের পানি পাক । কিন্তু শহরের নর্দমার স্রোতের পানি পাক নয়; যেহেতু তাতে ময়লা আবর্জনা থাকে। খাল-বিল, পুকুর ইত্যাদির পানিতে যদি কোন তরল নাপাক পড়ে মিশে যায়, তবে ঐ পানি ব্যবহার করা জায়েজ হবে।

মাছ কাঁকড়া ইত্যাদি যে সব জীব পানিতে বাস করে.তা মাকরূহ। যে পানি দ্বারা একবার কোন জিনিস পাক করা হয়েছে ঐ পানি দ্বারা ওযু গোসল শুদ্ধ হয় না ।

সাবান, জাফরান বা অন্য কোন বস্তু পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে পানির স্বাভাবিক রং পরিবর্তন করল, কিন্তু তরলতা নষ্ট করল না- এই পানি ব্যবহার করা দুরস্ত হবে।

আরো পড়ুন:- নামাজের পোশাক কেমন হওয়া উচিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *