নামাজ

নামাজের গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা

Share this

নামাযের কতিপয় জরুরী মাসয়ালা

১। দাঁড়ানোর স্থান ও সেজদার স্থান সমতল হওয়া চাই। দাঁড়ানোর স্থান হতে সেজদার স্থান ১২ অংগুলির বেশি উঁচু হলে নামায জায়েয হবে না ।

২। নামাযে ফাতিহা পাঠের পূর্বে আউযু বিল্লা-বিসমিল্লাহ পুরাপুরি পড়বে এবং শেষে ‘আমীন’ বলবে ।

৩। নামাযের মধ্যে হাই উঠলে যথাসম্ভব মুখ বন্ধ রাখবে। দমন করতে না পারলে ডান হাতের পিঠ দ্বারা মুখ ঢাকবে ।

৪। সেজদার সময় কপাল, নাক, দুই হাত ও হাঁটু ঠিকমত মাটিতে লাগিয়ে সেজদা করবে।

৫। কোন জীব-জন্তুর ছবি অঙ্কিত জামা-কাপড় পরে নামায পড়া মাকরূহ ।

৬। মেয়েলোকে সেজদার সময় উভয় হাতের কব্জিহতে কনুই পর্যন্ত মাটিতে বিছিয়ে রাখবে। পুরুষগণ এরূপ করলে নামায মাকরূহ হবে ।

৭। নামাযের সময় চাদর কাঁধে ঝুলিয়ে রাখলে নামায মাকরূহ হবে। হ্যাঁ, চাদরের মাথা ঘুরিয়ে কাঁধের উপর দিয়ে পিছনে ঘিরিয়ে দেয় তাহলে নামায মাকরূহ হবে না ।

৮। ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল প্রত্যেক নামাযেই প্রথম রাক’আত এবং দ্বিতীয় রাক’আতে ক্বেরাআত সমান করবে। দ্বিতীয় রাক’আতে ক্বিরাত প্রথম রাক’আত অপেক্ষা দীর্ঘ হলে মাকরূহ হবে।

৯। নামাযের সময় নাক, মুখ কাপড় দ্বারা আবৃত রাখা মাকরূহ তাহরীমী ।

১০। অন্য সূরা জানা থাকা সত্ত্বে ও ফরয নামাযে বার বার একই সূরা পাঠ করা মাকরূহ।

১১। বিনা ওজরে নাক না ঠেকিয়ে সেজদা করা মাকরূহ।

১২। প্রথম রাক’আতে যে সূরা বা আয়াত পড়া হয়, দ্বিতীয় রাকআতে সে সূরা বা আয়াত অথবা তার পূর্ববর্তী আয়াত বা সূরা পড়া মাকরূহ।

১৩। লোক চলাফিরা করে এমন জায়গায় নামায পড়তে দাঁড়ান মাকরূহ।

১৪ । পায়খানা-প্রস্রাবের বেগ ধারণ করে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী । তবে উভয় ঈদের নামায ও জানাযার নামায না পাওয়ার আশংকা থাকলে পায়খানা-প্রস্রাবের বেগ নিয়েও পড়া জায়েয।

১৫। মাকরূহ তাহরীমী কোন কাজ হয়ে গেলে নামায পুনরায় পড়া ওয়াজিব। আর মাকরূহ তানযীহী হলে পুনরায় পড়া মুস্তাহাব ।

১৬। জামার আস্তিন কনুইর উপর গুটিয়ে নামায পড়া মাকরূহ।

১৭। যে ঘরে প্রাণীর ছবি আছে সেই ঘরে নামায পড়া মাকরূহ ।

১৮ । ছবির মাথা না থাকলে বা আবৃত থাকলে মাকরূহ হবে না

১৯ । একাকী নামায পড়া অপেক্ষা জামাআতে পড়ায় ২৭ গুণ বেশী সওয়াব হয়।

২০। ফরয নামায পড়ে সুন্নাত পড়ার পূর্বে অথবা সুন্নত নামায পড়ে ফরয নামাযের পূর্বে বাজে কথা বললে নামাযের সামাঞ্জস্য লোপ পেয়ে যায়। তাই সওয়াব কমে যায় আর পরিমাণে বেশী হলে মাকরূহ ।

২১। রুকু সেজদায় এক তাসবীহ পরিমাণ সময় বিলম্ব না করলে নামায হবে না।

আরো পড়ুন:- নামাজের ফরজ কয়টি

One thought on “নামাজের গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা