কত হিজরীতে কিবলা পরিবর্তন হয়
Share this
মুসলমানদের প্রথম কিবলা পরিবর্তন হয় ৬২৩ খ্রিস্টাব্দে (হিজরতের দ্বিতীয় বছর)।
কাবা মুসলমানদের কিবলা
বারা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে ষোল কিংবা সতের মাস নামায পড়েছেন। রাসূল (সাঃ) কা’বাগৃহের দিকে মুখ করে নামায পড়তে পছন্দ করতেন।
তাই আল্লাহ নাযিল করেন, “আমি আপনার মুখমন্ডল বার বার আকাশের দিকে উঠাতে দেখেছি।” তিনি নতুন কিবলার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
আর নির্বোধ লোকগণ (অর্থাৎ) ইয়াহুদী সম্প্রদায় বলতে লাগল, কে তাদের মুখ পূর্ববর্তী কিবলা থেকে ফিরিয়ে দিল? আল্লাহ বললেন, “হে মুহাম্মদ! আপনি বলে দিন, পূর্ব ও পশ্চিম একমাত্র আল্লাহর !
তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন। অতঃপর এমন একব্যক্তি, যে রাসূল (সাঃ) এর সঙ্গে নামায পড়েছিল। নামাযের পর আনছারদের নিকট গেল । তখন তারা বাইতুল
মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে আছরের নামায পড়ছিল। সে গিয়ে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসূল (সাঃ) এর সঙ্গে নামায পড়েছি এবং তিনি কা’বার দিকে মুখ করে নামায পড়েছেন । এ কথা শুনে সকলেই কা’বার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিল । (বুখারী শরীফ)
কিবলামুখী হয়ে নামায পড়া
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বললেন, রাসূল (সাঃ) যখন কা’বাগৃহে প্রবেশ করলেন, কাবার প্রত্যেক কোণায় গিয়ে দোয়া করলেন এবং বাইরে না আসা পর্যন্ত নামায পড়লেন না । বাহিরে আসার পর কা’বার দিকে মুখ করে দু রাকাত নামায পড়েন এবং বললেন, (বুখারী শরীফ) এটাই কিবলা
মাকামে ইব্রাহীমে নামায পড়া
ইবা ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একব্যক্তি এসে তাঁকে বলল, রাসূল (সাঃ) খানায়ে কা’বায় এবেশ করেছেন। তিনি বললেন, আমি এসে দেখলাম, রাসূল (সাঃ) বের হয়ে গিয়েছেন এবং বিলাল দু দরজার মাঝখানে দাড়িয়ে আছেন ।
আমি বেলালকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূল (সাঃ) কি কা’বাগৃহে নামায পড়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। কা’বাগৃহে প্রবেশ করার সময় বামদিকে যে দুইটি স্তম্ভ আছে তার মাঝখানে দুই রাকাত এবং বের হয়ে কা’বাগৃহের (বুখারী শরীফ) সামনে দুই রাকাত নামায পড়েছেন ।
আরো পড়ুন:- তাওবার নামাজ পড়ার নিয়ম