ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে
Share this
ফিতরার বিবরণ
আমরা পবিত্র রমজান মাসের রোযা পালন করি, কিন্তু তা যথাযোগ্য ঠিকমত আদায় হয় না । বহু ভুল-ত্রুটি হবার আশঙ্কা থাকে, অতএব রোযাকে ত্রুটি-বিচ্যূতি হতে পবিত্র করার জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ইসলাম ধনীদের জন্য ‘ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব করে দিয়েছে।
এই ফিতরার হকদার মিসকীনরা। এ দ্বারা গরীব-মিসকীনরা উপকৃত হয় এবং ধনীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দোৎসবে শরীক হতে পারে।
১। যাদের যাকাত দেয়া ওয়াজিব, তাদের ফিতরা দেয়াও ওয়াজিব। তবে ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার জন্য যাকাতের মত নেসাব পরিমাণ মাল পূর্ণ এক বৎসর হাতে থাকা শর্ত নয়।
কেবল ঈদের দিন সকালে নেসাব পরিমাণ মালের মালিক থাকলে ফিতরা তোলা রৌপ্য আদায় করা ওয়াজিব। নেসাবের পরিমাণ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন ফিতরাও দিতে হবে।
২। যে শিশু ঈদের পূর্ব রাত্রে সোবহে সাদেকের পূর্বক্ষণে ভূমিষ্ট হয়েছে, তার
৩। যে ব্যক্তি ঈদের দিন সোবহে সাদেকের পূর্বে ইন্তেকাল করেছে, তার ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব নয় ।
৪। মেয়েলোক ধনী হলে শুধু সে নিজের ফিতরা আদায় করবে। ছেলে-মেয়েদের ফিতরা আদায় করা তার উপর ওয়াজিব নয় । নাবালেগ সন্তানের ফিতরা পিতা আদায় করবে। বালেগ সন্তানের ফিতরা পিতা মাতার উপর ওয়াজিব নয়। নাবালেগ যদি মাল- দার হয় তবে অভিভাবকের উচিত তার সম্পদ থেকে ফিতরা আদায় করবে।
৫। কেউ ঈদের দিনের পূর্বে ফিতরা আদায় করলেও জায়েয হবে। ঈদের দিন সকালে নামাযের পূর্বে ফিতরা আদায় করা মুস্তাহাব । যদি কেউ এ সময় আদায় না করে তবে পরে আদায় করতে হবে।
৬। একজনের ফিতরা একজন মিসকীনকে দেয়া উচিত, তবে একজনের ফিতরা একাধিক মিসকীনের মধ্যে ভাগ করেও দেয়া যায়। তদ্রূপ একজন মিসকীনকে কয়েকজনের ফেতরা দেয়াও দুরস্ত আছে ।
৭। গম বা আটা দ্বারা ফিতরা দিলে ৮০ তোলার ১ সের সাড়ে বার ছটাক হারে দিতে হবে। ধান, চাল, চানা বুট ইত্যাদি দ্বারা ফিতরা দেওয়া জায়েয, কিন্তু এক সের সাড়ে বার ছটাক গম বা আটার মূল্যে যে পরিমাণ চাল, বা চানা বুট পাওয়া যায় একজনের ফিতরা সেই পরিমাণ আদায় করবে ।
৮। যারা যাকাত গ্রহণ করতে পারে, তারা ফিতরাও গ্রহণ করতে পারবে। অর্থাৎ যাকে যাকাত দেয়া যায়, তাকে ফিতরাও দেয়া জায়েয ।
আরো পড়ুন:- যাকাতের হিসাব